জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন মুক্তিগঞ্জ এলাকায় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ জন। তারা সবাই নির্মাণ শ্রমিক।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার আবিরনগর গ্রামের নজির আহম্মদের পুত্র মো. মফিজ (৫০), সমসেরাবাদ গ্রামের নুরুল আমিনের পুত্র খোরশেদ (৩৫) ও টুমচর গ্রামের পাটোওয়ারীর পুত্র মো. রফিক (৫৫)। তাদের মৃতদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আহতরা হলেন, সৈয়দ আহম্মদ, আব্দুর নুর, বাবলু, নজির, আবুল বাসার, রনি, ইয়াছিন ও আবুল হোসেনসহ মোট ১২ জন। এরা সকলে সদর উপজেলার আবিরনগর ও সমসেরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একটি মিনি পিকআপে করে ২০ জনের মতো নির্মাণ শ্রমিক মেশিনপত্র নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পিকআপটি লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়কের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে একটি চাকা পাংচার হয়ে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি পুকুরে পড়ে যায় পিকআপটি। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা শ্রমিকদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ইনচার্জ) মো. ওয়াসি আজাদ বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্পাদনা জহুরুল হক
আপনার মতামত লিখুন :