চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বুধবার বিকেলে নিহত রিপনের ভাই মোহাম্মদ আজাদ বাদি হয়ে মহিউদ্দিন, দিদারসহ ১০-১২ জনের নামসহ ২৮ আসামি বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ তথ্য জানিয়েছেন ওসি প্রিটন সরকার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। বায়েজিদ শেরশাহ এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণসহ গার্মেন্টসের ঝুটব্যবসার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বাসা থেকে মেজবান শেষে ফেরার পথে শের শাহ বাজার সংলগ্ন ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন রিপন। কাউন্সিলর বাবুর অনুসারী ছিলেন রিপন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে এমদাদ, দিদার, মিল্টন বড়ুয়া, জসিমসহ একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এই হামলা চালায়। এ সময় তারা রিপন ও আল আমিনকে আটকে মারধর করে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় এক ঘন্টা ধরে এই হামলা চললেও ফাঁকা ফায়ার করে আতংক ছড়ানোয় রিপনদের উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, বায়েজিদ থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের। অথচ এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে হামলা চললেও পুলিশ এসেছে অনেক দেরিতে। অথচ পুলিশকে সাথে সাথেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেননি। এমনকি আমরা কয়েকবার ফোন করে তাড়া দেয়ায় ওসি বেশ বিরক্তিও দেখিয়েছিলেন। আমাদের বলেছেন আমরা বেশি বাড়াবাড়ি করছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি প্রিটন সরকার। তিনি বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই স্পটে ফোর্স গিয়েছে। এমনকি স্পট থেকে আমরা দুজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছি।তারা হলেন মোমিন (৩১) , শওকত (২১)। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :