ডেস্ক নিউজ : বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের জেল ও ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করায় বুধবার দিবাগত রাত ১টায় এই রায় ঘোষণা করেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আল মামুন।পরে রাত দেড়টায় আবদুল কুদ্দুছকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। রাইজিংবিডি
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন এএইচএন ইটভাটা মালিক আব্দুল কুদ্দুছ চেয়ারম্যানকে ফোন করে জুডিশিয়াল আদালতে ডেকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত মোবাইল জব্দ করেন এবং বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের কেমিস্ট সামিউল আলমকে নিয়ে এএইচএন মালিকসহ জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত ইট ভাটার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে দীর্ঘ অভিযান শেষে তারা রাতে বান্দরবান শহরে ফিরে তদন্ত প্রতিবেদন লেখা শেষ করে রাত ১টায় সাজার রায় ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে, পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান জেলার দায়িত্বশীল কেমিস্ট সামিউল আলম জানিয়েছেন, তাজিংডং ইটভাটার মালিকানা স্বীকার করায় তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রায় দিয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং পরবর্তী শুনানিতে এই ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছিল এবং তিনমাসের ভেতর ইটভাটাটি অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয়।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইটভাটার মালিক হিসাবে খামলাই ম্রো এবং বিপ্লব গংকে জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কেমিস্ট ইটভাটাটির জমি ভাড়া নেয়া চুক্তিপত্রে কুদ্দুছ চেয়ারম্যানের নাম না থাকার পরও তিনি কিভাবে সাজা পেলেন এর কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
এবিষয়ে কুদ্দুছ চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ পুত্র মিজানুর রহমানের স্ত্রী মিসেস জিহান বলেন, আমার শ্বশুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তারচেয়ে বড় বিষয় তাজিংডং ইটভাটার চুক্তিপত্রে আমার শ্বশুরের নাম নাই। চুক্তিপত্র যাচাই করা হলেই দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে খামলাই ম্রো, মিজানুর রহমান এবং বিপ্লব মার্মাই এই ইটভাটার যৌথ অংশীদার।
এদিকে কুদ্দছ চেয়ারম্যান পুত্র লুৎফুর রহমান উজ্জ্বল জানান, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর নথি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিবো। সম্পাদনা : জেরিন মাশফিক
আপনার মতামত লিখুন :