মাজহারুল ইসলাম : এ বছর মুজিববর্ষ পালন করা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা-মহানগর ও উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলকে পুনর্গঠনেও সময় দিবে দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন বছরের শুরু থেকেই নতুন কমিটিকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দলের অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা, জেলা-উপজেলায় বিতর্কমুক্ত নেতৃত্ব গঠন, তৃণমূল পর্যায়ে সৃষ্ট এমপিবলয় ভাঙা দলের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে বলেন, সিটি ভোটের চ্যালেঞ্জ নিয়েই নতুন বছর শুরু হবে। সভানেত্রীর ভিশন ও মিশন গুলো বাস্তবায়ন করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।
জানা যায়, বিএনপির অংশগ্রহণের এই নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে আওয়ামী লীগ। ইভিএমের এই ভোটে জিততে মেয়র পদে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দলীয় মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহার যেন সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতে পারে সে বিষয়টি তদারকি করা হবে।
সূত্রমতে, সারাদেশে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার আগে এর মধ্যে মাত্র একটি জেলার সম্মেলন হয়েছিলো। তবে, সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর গত ৩মাসে আরও ২৯টি জেলার সম্মেলন হয়েছে। বাকিগুলো এ বছরেই করার মিশন আছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন বছরে ভোট দিয়ে শুরু হবে পথচলা। মুজিববর্ষ পালনে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে চাই। একই সঙ্গে আমাদের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব বণ্টন হওয়ার পর আবারও তৃণমূল গোছানোর কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে এ বছরের ১৭ মার্চ। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ রেহানাসহ ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি এবং ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্পাদনা : ইয়াসিন আরাফাত
আপনার মতামত লিখুন :