যুগান্তর : পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অনাড়ম্বরভাবে ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশে আনন্দ চিৎকার করে ২০২০ সালকে বরণ করে নিচ্ছেন।
নতুন বছরকে বরণ করতে আজ রাত ৮টার পর থেকেই টিএসসির রাজু ভার্স্কযে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হতে থাকেন।
মধ্যরাত ঠিক ১২টা বাজলেই উল্লাস-উদ্দীপনা, ফানুস উড়িয়ে এবং সেলফি তোলার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো আতশবাজি ফোটাতে দেয়নি পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের চাইতে পুলিশের উপস্থিতি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
এবার নববর্ষ উদযাপনে ডিএমপির নিরাপত্তার এমন কড়াকড়িতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
কেউ কেউ বলেছেন, এমন নববর্ষ উদযাপনের চেয়ে হলের রুমে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকাই শ্রেয়। ক্যাম্পাস লাইফে এই প্রথম দেখলাম যে, নববর্ষ বরণে কোনো আতশবাজি ফোটানো যায়নি।
তবে বিষয়টিতে সমর্থন জানিয়েছেন বেশিরভাগই।
রাজু ভার্স্কযে উপস্থিত ঢাবি শিক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার জন্য এবারের নববর্ষ উদযাপন অনেকটাই সাদামাটা। তবে আমরা বিষয়টিকে পজিটিভ হিসেবেই নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জোরদার করাটা সঠিক উদ্যোগ।
তারা বলেন, ফানুস উড়িয়ে ২০২০ সালকে বরণ করে নিয়েছি। আশা করছি, ১৯ সালের শেষ মাসে এসে ক্যাম্পাসে যেসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তা যেন আর ঘটে। নতুন বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে এটাই কামনা করি।
থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনকে ঘিরে সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং তল্লাশি চালানো শুরু হয়।
যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :