শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৯:০৬ সকাল
আপডেট : ০১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৯:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাম গণতান্ত্রিক জোট বিএনপির জায়গা নিয়ে ফেলেছে দেশে বিএনপি এখন তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি

 

অনির্বাণ আরিফ : বাম গণতান্ত্রিক জোট বিএনপির জায়গা নিয়ে ফেলেছে। দেশে বিএনপি এখন তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি। আর বামজোট প্রধান বিরোধীদল। এমনটা আপাতত হাইব্রিড কমিউনিস্টদের মধ্যরাতের ঘুমভাঙা স্বপ্ন। পঁচাত্তরের পরও বামরা এমন পজিশনে গিয়েছিলো। কিন্তু মাঝপথে এসে এমন একটা মার খেলো তো বামরা বাম, বাপ, মা এমনকি মার্ক্সের নামও ভুলে গেলো।

বুর্জোয়া গণতন্ত্র সমাজতন্ত্রের বড় শত্রু। এটা আমার তত্ত্ব নয়, বামদের তত্ত্ব। অথচ বামরা আজকাল ওই বুর্জোয়া গণতন্ত্রের জন্য গগনবিদারী আওয়াজ তোলে। কেন তোলে এ প্রশ্নটা লেনিনের মূর্তিকে জিজ্ঞেস করলে ভালো উত্তর আসবে। ইসলামপন্থীদের গণতন্ত্রের জন্য কান্না দেখলে আর বামপন্থীদের গণতন্ত্রের জন্য নাটক দেখলে শুধু হাসি নয় অট্টহাসি পায়। আদর্শ এমন একটি বিষয় যা বিকৃত এবং বিক্রিত করা হিপোক্রেসি এবং নষ্টামি। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি আন্দোলন করলে মানায়, আওয়ামী লীগ আন্দোলন করলে মেনে নেয়া যায় কিন্তু বাসদ, জাসদ, গণসংহতি, গণঅসংহতি, জামায়াত, খেলাফত, ইআ, কিয়া যখন কথা বলে তখন মনে হয় আজগুবির কালে আমরা চলে এসেছি। যাদের মেনিফেস্টো ইসলাম কায়েমের তারা ইসলামী শরিয়া আইন তথা খেলাফতের জন্য কাজ করুক সমস্যা নেই। যাদের লক্ষ্য সমাজতন্ত্র কায়েম তারা সমাজতন্ত্রের জন্য লড়াই করুক সমস্যা নেই। কিন্তু এই খেলাফতবাদ, এই সমাজতন্ত্রবাদ বাদ দিয়ে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার নাম পলিটিক্যাল কনভার্টিং বা কনভার্টিং অব পলিটিক্স। কনভার্টিং পলিটিক্স কনসেপ্ট বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের বাম এবং ইসলামপন্থীরা যুগ্মভাবে নোবেল দাবি করতে পারে।

২. আওয়ামী লীগের নতুন শাখা সংগঠনের নাম হলো আজহারী লীগ। আজহারী হুজুরের আগে এ সংগঠনের একাধিক কর্মী এবং নেতা সাঈদী লীগ, নিজামী লীগ এমনকি ওসামা লীগের সদস্য পদ লাভ করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের মূলনীতি চারটি। যার প্রথমটি ই হলো গণতন্ত্র এবং শেষটি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। একালে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক দাবী করা ছাত্রলীগের ছেলেটি জানে না গণতন্ত্র কী? আর যুবলীগের আধা ধার্মিক ভাইটি মনে করে ধর্মনিরপেক্ষতা হারাম। জাতীয়তাবাদ বিষয়টি শুনতে হালকা কিন্তু ওজনে বেশ ভারী তাই সেটি আপাতত বাদ। সমাজতন্ত্র এখন জাদুঘরে। বাকি থাকে ঐ গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ দুটি ভিন্ন হলেও টপিক দুটি একই অর্থ বহন করে। স্পষ্ট করে বললে এ দুটির মূলকথা হলো, সবার মতামত এবং চিন্তা কে সম্মান করা। আপনি নিজকে আওয়ামী লীগ দাবী করে গণতান্ত্রীক মূল্যবোধ ধারণ করতে না পারলে, ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ লালন করতে না পারলে আপনার আওয়ামী লীগ করা উচিত নয়। আপনার জন্য শত শত মৌলবাদী সংগঠন পড়ে আছে। গেলেই পদ পাবেন। এমনকি বিএনপিও করতে পারেন।

আজহারী ভক্ত হলে সমস্যা নেই। কিন্তু যে মুখে আজহারী বলবেন সে মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম নেবেন কীভাবে? বা যে মুখে সাঈদীর বন্দনা করেন সে মুখে নিজকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পরিচয় দেন কীভাবে বলেন? আজহারী আমাদের শত্রু নয়, বন্ধুও নয়। আজহারীরা হলো বিভাজনবাদী মডারেট মুসলিস স্পিকার। আর বিভাজনবাদীদের রাজনীতি হলো জামায়াত বা হেফাজত, আওয়ামী লীগ বা প্রগতিশীল দল নয়। আজহারীদের বিভাজনবাদী পথ আর আমাদের অবিভাজনবাদী পথ ভিন্ন। আজহারীদের পথে গেলে আপনি জামাত-হেফাজতে চলে যান সমস্যা নেই। কিন্তু ঐক্যের পথে হাঁটতে হলে অসাম্প্রদায়িকতার পথে হাঁটতে হবে। কারণ অসাম্প্রদায়িকতার পথ মানেই হলো মানুষে মানুষে কোন বিভাজন বা বিভেদ না রাখা। বঙ্গবন্ধুর দলের কিছু নেই তবুও একটি গৌরব আছে যে এ দলটিই বাংলাদেশের একমাত্র আদি এবং অন্তের দল, যে দলটির মূলনীতি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি। সুতরাং এ দলের নাম ঝুলিয়ে সাম্প্রদায়িক আজহারীর গুনগান করা থেকে বিরত থাকেন। আর করতে হলে বঙ্গবন্ধু দল থেকে বের হয়ে করেন। ফি আমানিল্লাহ! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়