মুনশি জাকির হোসেন : ডিএপি সারের দাম কেজিপ্রতি ৯ টাকা কমিয়ে কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী। সমস্যা অন্যত্র, কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সরকারের বাইরে অন্য কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। শেখ হাসিনা যতোদিন সরকারে আছেন ততোদিন কৃষি ভর্তুকি বাড়তেই থাকবে, কেউ মাথা ঘামাক না ঘামাক সেটি চলতেই থাকবে, এমনকি বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের অব্যাহত হুমকির পরও। শেখ হাসিনা যতোদিন আছেন ততোদিন সারের দাবি, পানির দাবি নিয়ে কৃষকদের আন্দোলন করতে হবে না, গুলি খেতে হবে না। সরকার কৃষি যান্ত্রিকরণে-কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার কিনতে ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু কৌশলগত কারণে প্রান্তিক কৃষক সেই সুবিধা নিতে পারছে না, জমির আকার ছোট, প্রান্তিক কৃষকের গড় জমির পরিমাণ সর্বোচ্চ ২-৩ বিঘা। এখানে বাকশাল প্রবর্তিত নিয়ে সমবায় করে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার দরকার হলেও আওয়ামী কৃষক লীগ সেটি সামনে আনতে অক্ষম। কারণ তারা ঘোড়ার ঘাস কাটছে। এমনকি রাজনৈতিক দলের বাইরেও কেউ বিষয়গুলো সামনে আনছে না, কারণ তারা আরবান এলিট, নেটিজেন, লুম্পেন, বুর্জোয়া, তারা বিশ্বাসঘাতক, তারা বেঈমান।
শহুরে মানুষগুলো যদি কৃষকদের পক্ষে কথা বলতো তাহলে কৃষকদের পক্ষে সরকারের কাছ থেকে আরও সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নেয়া যেতো। যেমন : বছরের এই সময়ে গ্রামীণ জনপদে আর্থিক অবস্থা সবচেয়ে ঋণাত্মক থাকে, এখন সেখানে নগদ অর্থায়ন অতীব জরুরি। কারণ প্রান্তিক কৃষক নিজের শেষ সম্বল দিয়ে চাষাবাদ শুরু করে, মধ্যম পর্যায়ে গিয়ে ঋণ নিতে থাকে মহাজন, মাড়োয়াড়ীদের কাছ থেকে। চাষ শেষ করতে ঋণের বোঝা ভারি হতে থাকে এবং ধানের ফোর্স সেল শুরু হয়। এখন সরকার নগদ সহায়তা করলে জমি থেকেই ধান বিক্রির প্রয়োজন পড়বে না, ধান কৃষকের গোলায় যাবে, ধানের দাম স্থিতিশীল থাকবে, পরে সময়মতো কৃষক ধান বিক্রি করতে পারবে, এভাবে মৌসুমের শুরুতেই ধানের ফোর্স সেল বন্ধ করলে কৃষক উপকৃত হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে টিকে আছে শেখ হাসিনা, পোশাক শ্রমিক, প্রবাসী রেমিটেন্স এবং প্রান্তিক কৃষকদের অবদানে। এর বাইরে যারা আছেন তারা সবাই নিজের প্রয়োজনে, নিজের বেতন, সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজনে শ্রম দিচ্ছেন মাত্র। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :