শিমুল মাহমুদ: ডাকসু নির্বাচনের বিরোধিতা, ছাত্রলীগ থেকে অনুপ্রবেশ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে চ্যালেঞ্জে ফেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গোলযোগ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবকে হেনস্তাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের হাতে দেয়া হয়েছে নেতৃত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির বড় অংশের এই অভিযোগ।
আহবায়ক কমিটির কয়েকজন নেতা মনে করেন, উপযুক্ত পদ থেকে একদিকে যেমন তারা বঞ্চিত হয়েছেন অন্যদিকে সংগঠনটির অনেক কর্মীবান্ধব, ত্যাগী, পরিশ্রমী ও নির্যাতিত নেতাকর্মী বাদ পড়েছে। এ কমিটির সাথে ঢাবি ছাত্রদলের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, আহবায়ক কমিটির রাকিবুল ইসলাম রাকিব আর সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান প্রথমে ডাকসুর বিরোধিতা করলেও তারাই সক্রিয় হয়ে কাজ করেছে। এছাড়া বজলুর রহমান বিজয় ছাত্রলীগ করতো অনেকে অভিযোগ করেছে। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ খোঁজ নিয়ে দিখেছি ইউনিয়ন পর্যায়ে সে ছাত্রদলের কমিটিতে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, এই কমিটি দেয়ার ক্ষেত্রে আমাকে অবহিত করা হয়নি। কমিটি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে এর সত্যতা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব নেতারা বলেন, গত কমিটির ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী সাত্তার পাটোয়ারী ফেইসবুক আইডি থেকে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। যা মধুর ক্যান্টিন থেকে ঘোষণা আসার কথা ছিলো। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীকে পাওয়া যায়নি।
বঞ্চিত এসকল নেতারা আরো বলেন, ডাকসু নির্বাচন যেখানে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ ধরা হয়েছে সেখানে আহ্বায়ক,(৩৪) বছর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সহ অনেকেরই বয়স ৩২ এর উপরে। তাহলে আগামী মার্চের পরে যে নতুন ডাকসু নির্বাচন হবে সেখানে কিভাবে তারা প্যানেল ঘোষনা হবে?
ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, সামনে কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢাবির সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে তখন যারা সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হবে তারাই ডাকসুতে নির্বাচন করবে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু, সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :