কামরুল হাসান মামুন : পদার্থবিজ্ঞানে স্কেলিং একটি দারুণ বিষয়। আমাদের সোলার সিস্টেমকে যদি রি-ইস্কেল করে পৃথিবীর সমান সাইজে ম্যাপ করতে পারতাম, তাহলে আমাদের সাইজ হতো প্রায় ০.১৬ সস! আর গোটা ইউনিভার্সকে রি-ইস্কেল করে যদি সোলার সিস্টেমের সাইজে ম্যাপ করতে পারতাম তাহলে আমাদের সাইজ হতো প্রায় ইলেক্ট্রন, প্রোটনের সাইজের মতো বা তার চেয়েও ছোট। এই মহাবিশ্বের স্বাপেক্ষে আমরা কতো ছোট একটু ভাবুন। অর্থাৎ মানুষকে তখন তত্ত্বীয়ভাবে স্টাডি করতে হলে কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করা লাগতো। সেখানে ক্লাসিকাল মেকানিক্স ফেল মারতো। আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুসারে এমনকি সৃষ্টিকর্তাও তখন বলতে পারতো না একেকটি ইন্ডিভিজুয়াল মানুষ এক্সাক্টলি কোথায়।
সর্বোচ্চ যেটা পারা যেত সেটা হলো আমাদের কোন একটি জায়গাজুড়ে পারার সম্ভবনা। কারণ আমাদের জন্য তখন বিখ্যাত uncertainty principle হবে। এই মহাবিশ্বের সাপেক্ষে আমরা এতোই ছোট। ওই মহাবিশ্বের স্কেলের কারো কাছে ইন্ডিভিজুয়ালের কোনো গুরুত্ব থাকার কথা নয়। বড়জোর মানুষ হিসাবে আমাদের কালেকটিভ আচরণই গুরুত্বপূর্ণ ঠিক মেটালের ভেতর একক কোনো ইলেক্ট্রনের আচরণের কোনো গুরুত্ব নেই। তাই আমাদের উচিত এই বিষয়টি বুঝে মানবিক হওয়া। সকল মানুষের কথা ভাবা। পুরো মানবজাতির কথা ভাবলে আমরা একেকজন আসলে আমাদের শরীরের একেকটি কোষের মতো।
প্রত্যেকটি কোষের একটি নির্দিষ্ট কাজ আছে এবং সেই কোষ নিরবিচ্ছিন্নভাবে সুচারুভাবে সেই কাজটিই করতে সচেষ্ট থাকে। আমাদের সমাজের ক্ষেত্রেও শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, কামার, কৃষক প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট কাজ আছে। শিক্ষক হয়ে শিক্ষকতাই হওয়া উচিত মূল কাজ এবং এই কাজটি সবচেয়ে ভালোভাবে করার মাধ্যমেই আমরা দেশপ্রেম প্রকাশ করতে পারি। এই মুহূর্তে আমরা যা করছি তা দেশের জন্য কোনভাবেই কল্যাণকর নয়। PS : The diameter of the earth is 1.2x10^4 km, the diameter of our solar system is 1.4x10^8 km, the diameter of the universe is 8.8×10^23 km! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :