শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৬:৪১ সকাল
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৬:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একতরফা ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ আবারও নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে

 

সাঈদ তারেক : ক্যাসিনোর শ্লট মেশিনগুলো চলে বিশেষভাবে তৈরি সফ্টওয়্যার দিয়ে। এতে এমনভাবে প্রগামিং করা থাকে, মেশিনে যতো টাকাই ঢালা হোক খেলোয়াররা ফেরত পাবেন বিশ থেকে তিরিশ পার্সেন্ট। নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম মেশিনগুলোও সফ্টওয়্যারে চলে। এখানেও একই কথা, প্রগ্রামিংটা কীভাবে করা হচ্ছে। প্রগ্রামার চাইলে এমনভাবে সেট করে দিতে পারেন ভোটাররা যেখানেই সীল মারুন দিনশেষে রেজাল্ট কোনো বিশেষ মার্কার অনুকুলেই প্রদর্শিত হবে। এই আকামগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারী সরকারগুলো করছে। ফলে নানা দেশেই ইভিএমের বিরুদ্ধে কথা উঠছে। সামনের সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভালো কথা। এর একটাই সুবিধা বোতাম টিপে বা অল্প সময়ে ফলাফল হাতে আনা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোনো ফলাফল, যেটা ভোটাররা দেবেন না, যেটা ইসি আগেই ঠিক করে দেবেন। সে অবকাশ আছে। ইসি চাইলে প্রগ্রামারকে দিয়ে তেমনভাবে সফ্টওয়্যার তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। কেউ এসে চাইলে আগে মেশিন পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন- এসব বাত কা বাত। ওগুলো কেউ করে না বা করলেও গোমড় ধরা পড়ে না।

আমাদের নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্বা কতোটুকু এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। অতীতে দেখা গেছে সরকার যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই নির্বাচন করিয়ে দিয়েছে। এবার অবশ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এই নির্বাচন নিয়ে তাদের কোন উচ্চাভিলাষ নাই। হয়তো আগের রাতে পুলিশ দিয়ে সীল মারিয়ে নেবে না। শাষক দলের মহাসচিব বলেছেন এ নির্বাচনে হারলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। অর্থাৎ গদী চলে যাবে না। তারপরও ফলাফল যাই হোক মেনে নেয়ার মত সৎ সাহস কতোটুকু আছে তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে। এ অবস্থায় ইসি কোন ভুমিকা নেয় সেটাই হচ্ছে দেখার বিষয়। এখন পর্যন্ত এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের কোন উৎসাহ আগ্রহ নাই। এখনো মনে করা হচ্ছে মুখে যে যাই বলুক শেষ মুহূর্তে ’১৮-এর ৩০ ডিসেম্বরের মতো অবস্থাই হবে। অর্থাৎ সরকার এবং ইসির ওপর আস্থার অভাব। আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে নই। এটা একটা প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থা।

এই ব্যবস্থার সুফল নির্ভর করছে ব্যবহারকারির সদিচ্ছার ওপর। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের কোনো আস্থা নেই, তাদের লোকে বিশ্বাষ করে না, সেক্ষেত্রে একতরফা ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নির্বাচনকে আবার প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে। এই গোঁ থেকে সড়ে আসা উচিত বলে আমার অভিমত। যে যাই বলুক শেষ মুহূর্তে ’১৮এর ৩০ ডিসেম্বরের মতো অবস্থাই হবে। অর্থাৎ সরকার এবং ইসির ওপর আস্থার অভাব। আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে নই। এটা একটা প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার সুফল নির্ভর করছে ব্যবহারকারির সদিচ্ছার ওপর। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের কোন আস্থা নাই তাদের লোকে বিশ্বাষ করে না, সেক্ষেত্রে একতরফা ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নির্বাচনকে আবার প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে। এই গোঁ থেকে সড়ে আসা উচিত বলে আমার অভিমত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়