শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ দুপুর
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে ধর্ম নিরপেক্ষরাও মদিনা সনদের পক্ষে, বললেন ড. বাহাউদ্দিন (ভিডিও)

টিভিএনএ রিপোর্ট: ইসলাম যে শান্তি চায় তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো এই মদিনা সনদ। এই সনদ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবনে বিরাট পরিবর্তন সাধন করে। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নৈরাজ্য, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে যুদ্ধবাজ গোত্রগুলোর মধ্যে সংঘাতের পরিবর্তে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন।

মহানবী (সা.) মদিনায় হিজরতের পর সেখানে বসবাসকারী ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মূর্তি পূজকদের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের জন্য একটি সনদ প্রণয়ন করেন। ইতিহাসে তা 'মদিনা সনদ' নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দেন। যে সনদে প্রত্যেক জাতি ধর্ম ও বর্ণের মানুষের শান্তিতে সহবস্থানে থাকার সুযোগ তৈরি হয়।

মদিনা সনদের আলোকে গড়ে ওঠা সেই ঐতিহাসিক মদিনা রাষ্ট্রের আবেদন আজও ফুরিয়ে যায়নি। বর্তমান সমস্যাসংকুল এই বিশ্বে, গভীর সংকটে আবর্তিত সমাজ ও রাষ্ট্রের উত্তরণ ঘটতে এই মদিনা সনদই সবচেয়ে সহায়ক হতে পারে।

মদিনা সনদের ধারাগুলো নিয়ে সেসময় মদিনায় যেমন প্রত্যেকে মেনে নিয়েছিলেন তেমনি বর্তমান এই সময়েও তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন ধর্ম নিরপেক্ষ ও ইসলামপন্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে যারা ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতি করছেন তারাও বলছেন যে, মদিনার সদন একটি ধর্ম নিরপেক্ষার দৃষ্টান্ত। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কিছু দিন আগে বলেছিলেন দেশ চলবে মদিনার সনদ অনুযায়ী। নিশ্চই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একটি তাৎপর্য রয়েছে। আসলে মদিনার সনদের সঙ্গে আমাদের সংবিধানের কিছু ধরার মিল আছে, আর সেজন্যই ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলসহ সবাই মদিনার সনদের কথা বলছেন। যেমন মদিনার সনদে আছে প্রত্যেক জাতিই স্বাধীনভাবে তার ধর্ম পালন করতে পারবে; কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করবে না। দুর্বল ও অসহায়কে সর্বতোভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। কোনও মানুষকে হত্যা করা যাবে না। এসব বিষয়ের সঙ্গে আমাদের সংবিধানের বেশ মিল রয়েছে। মদিনা সনদের প্রধান যে বিষয়টি সেটি হলো সব ধর্ম বর্ণের মানুষ একসাথে নিয়ে একটি শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আর এজন্য বর্তমান সময়ে মদিনার সনদ সব মতের রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহনযোগ্য।

মদিনা সনদের আলোকে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক মদিনা রাষ্ট্রের আবেদন আজও ফুরিয়ে যায়নি। বর্তমান এই বিশ্বে, গভীর সংকটে আবর্তিত সমাজ ও রাষ্ট্রের উত্তরণ ঘটতে পারে মদিনা সনদের অনুসরণেই। আমাদের দেশের রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। মদিনার সনদের পরতে পরতে শান্তি, সম্প্রীতি, সহাবস্থান, মানবাধিকার ও ধর্মীয় গোঁড়ামি পরিহারের যে বারতা রয়েছে তা অনুসরণ করলে আমরাও লাভ করতে পারি বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়