শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্যাসের মূল বৈষম্য নিরসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় বিরম্বনার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা

শাহীন চৌধুরী: আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের মূল্য বৈষম্য নিরসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় গ্রাহকরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিরম্বনার শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারকারিদের মধ্যে যারা মিটারের আওতায় এসেছেন তাদের দুই চুলায় খরচ হয় ৬০০ টাকা। এদিকে যাদের মিটার নেই তাদের তাদের ডবল চুলায় মাসে বিল প্রদান করতে হয় ৯৭৫ টাকা।

অপর দিকে এলপিজি ব্যবহারকারিদের ১২ কেজি ওজনের এলপিজির দাম কোম্পানি ভেদে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা প্রদান করতে হয়। কিন্তু দুই চুলা ব্যবহারকারি পরিবারকে মাসে দেড় থেকে ২ বোতল এলপিজি কিনতে হয়।সেক্ষেত্রে ওই পরিবারের খরচ পড়ে ১৮০০ থেকে ২৪০০ টাকা। জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে এই মূল্য বৈষম্য দূর করার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।বর্তমানে বাসাবাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় বেশীর ভাগ গ্রাহকেই এলপিজির উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। ফলে গ্যাস ব্যবহারে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বেশীরভাগ মানুষ।

সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে বার্ষিক এলপি গ্যাসের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। অথচ এরমধ্যে বিপিসি সরবরাহ করছে মাত্র ১৬ হাজার মেট্রিক টন। ২০০৯ সালে থেকে সরকার বলে আসছে বিপিসির মাধ্যমে এলপিজির সরবরাহ বাড়িয়ে গ্রাহক ভোগান্তি দূর করা হবে। কিন্তু বাস্তবে বিপিসি গত ১০ বছরে কিছুই করতে পারেনি। বরং বিপিসির সরবরাহ করা গ্যাস জেলাপর্যায়ে সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাদের বাসা-বাড়ির রান্নার কাজেই শেষ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ রয়েছে বিপিসি’র গ্যাসের নাগালের বাইরে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন, দেশে মানুষের রান্নাঘরের সংকট সামাল দিতে এলপিজি সরবরাহ কাজ করা হবে। এজন্য চট্টগ্রাম ও মোংলায় তিন লাখ মেট্রিক টন করে দুটি এলপিজি প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হবে। কিন্তু বিপিসি ১০ বছরেও এই প্রকল্পের কাজই শুরু করতে পারেনি।

এদিকে এলপিজি আমদানির জন্য সরকার অন্তত ৫৪টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে। এরমধ্যে ১৬ থেকে ২০টি প্রতিষ্ঠান এলপিজি আমদানি করছে। দেশের মোট এলপিজি’র চাহিদার দেড়ভাগের একটু বেশি এলপিজির জোগান দেয় বিপিসি’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড। তাই গ্রাহক বিরম্বনার শেষ নেই বলেই পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়