ইরফানুর রহমান রাফিন : ‘এই ঋণের টাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনও দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ছয় মাস না যেতেই এই অর্থবছরের পুরো টাকাটাই নিয়ে ফেলেছে সরকার। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ব্যাংক খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যেও। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন বছরে এই সংকট আরও ঘনীভূত হবে। তাদের মতে, সামনের দিনগুলোতে আরও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। অর্থনীতিতে একটা বড় ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে। ব্যাংকের টাকা উৎপাদনশীল খাতের চেয়ে অনুৎপাদনশীল খাতে বেশি যাচ্ছে’।
ধারে চলছে সরকার, বাংলাট্রিবিউন, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯
আমরা যারা পলিটিকাল ইকোনোমি নিয়ে নাড়াচাড়া করি, তারা বহু আগে থেকে বলে আসছি, অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। লক্ষণ অত্যন্ত অশুভ। তখন উন্নয়নখোরেরা আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছে, কেউ বলেছেন আমরা শুধু খারাপটাই দেখি, কেউ পজিটিভ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কেউ বলেছে, এই দেখো উইফোরামের বাংলাদেশবিষয়ক প্রতিবেদন। দেখো আমরা নতুন এশিয়ান টাইগার হতে যাচ্ছি। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন খোদ অর্থনীতিবিদরাই বলছেন, সামনে ধাক্কা আসছে। অথচ তারাই এতোদিন আওয়ামী ন্যারেটিভকে শক্তিশালী করেছে। জনগণকে অন্ধকারে রেখেছে। অর্থাৎ তাদের লুটের ভাগবাটোয়ারা পাওয়া শেষ। তাই এখন তারা ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির হয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যানেই চার কোটি মানুষ যেখানে বেকার, সেখানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর, এখন তারা নিজেদের দায়মুক্তি দিতে সত্যের সৈনিক হয়েছেন। শেম। শেম। শেম। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :