সুজিৎ নন্দী: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবার পরে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন কোন মন্তব্য করছেন না। তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা, প্রার্থী ঘোষণার আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার যে প্রচার তিনি করেছেন, এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে কি করবেন এবিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি ‘নো কমেন্টস্’ বলেছেন।
এ সময় মেয়র সাঈদ খোকন গত সাড়ে ৪ বছরে ডিএসসিসির উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রসঙ্গে বলেন, নগরবাসী এর মূল্যায়ন করবে। এছাড়া মেগা প্রকল্পে অনিয়ম, সিন্টিকেট ঠিকাদারি আর আলোচিত ডেঙ্গু বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
এদিকে তিনি ৫টি সমস্যাসহ ১০টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ২৫ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। তিনি ‘পরিকল্পিত উন্নয়ন, সুযোগের সমতা, নিরাপদ ও দূষণমুক্ত আধুনিক ঢাকা’ শিরোনামে ইশতেহার ঘোষণা করেন। তাতে যানজট নিরসন, দূষণমুক্ত, নাব্য ও নিরাপদ বুড়িগঙ্গা, পানি-গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যা, পরিচ্ছন্ন-দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর মহানগরী, দুর্নীতি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
অপরিচ্ছন্নতা, দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সঠিকভাবেই চিহ্নিত করা হলেও বাস্তবায়নে উদ্যোগ ছিল না। নগরীর গুরুত্ব¡পূর্ণ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও বেশির ভাগ ফুটপাত দখলমুক্ত হয়নি। সিটি করপোরেশনের উদাসীনতা ও চাঁদাবাজদের দাপটে এই উদ্যোগ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনার পরে হকারদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নগরীর পাঁচটি স্থানে ‘হলিডে মার্কেট’ চালুর উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে দুটি মার্কেট চালু হয়েছিল, এখন তাও বন্ধ।
অন্যদিকে নদীর পাড়ের এই সৌন্দর্যবর্ধনে বিআইডাবিøউটিএর একই ধরনের একটি প্রকল্প ছিল। অনেক চিঠি চালাচালির পর প্রকল্পটি আর বাস্তবায়ন করতে পারেনি ডিএসসিসি। শুরুত্বপূর্ণ ৫০টি গণপরিসরে ‘বিনা মূল্যে ইন্টারনেট বা ‘ফ্রি ওয়াইফাই জোন’ করার ঘোষণা করলেও শুধুমাত্র লালবাগের কেল্লায় চালু হয়। চালুর কয়েক মাস পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :