শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সারাদেশে ৫৭ দিনে শীতজনিত রোগে ৫০ জনের মৃত্যু

জেরিন মাশফিক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, এদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে ১৭ জন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪ জন এবং অন্যান্য শীতজনিত রোগে ২৯ জন মারা গেছে।সারাবাংলা

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বাড়ার পর থেকে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগ বাড়তে থাকে। এ সময়ে ডায়রিয়া (রোটা ভাইরাস) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ে, তেমনি বৃদ্ধি পায় শ্বাসতন্ত্রজনিত বিভিন্ন সমস্যার রোগী। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এ সংখ্যা নভেম্বর ও ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তে থাকলেও জানুয়ারির দিকে এটি কমে আসে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শীত উপদ্রুত এলাকাগুলোতে মাইকিং করে সতর্কতা জানানো ছাড়াও কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শও দেন ডা. আয়শা আক্তার। তিনি আরও বলেন, ‘শীতকালে বাতাসে রোটা ভাইরাসের উপস্থিতি বেশি থাকে আর তাই এ সময়টাতে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। বিশেষ করে শিশুদের। খাবার গ্রহণের আগে হাত পরিষ্কার ভাবে ধোয়া ছাড়াও পরিচ্ছন্নতার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’

শীতে শিশুদের ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়ে ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ মুয়াজ বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকায় জীবাণু বাতাসেই উড়ে বেড়ায়। এই জীবাণু খুব সহজেই শিশুদের আক্রমণ করে। তাই তাদের ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের গরম কাপড় পড়ানোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এক লাখ ১২ হাজার ২১৭ জন ডায়রিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে চুয়াল্লিশ হাজার ৯১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও শীতকালীন নানা রোগে (জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, জ্বর ইত্যাদি) আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এক লাখ ২১ হাজার ৬১৬ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

২৭ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে সারাদেশে শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৬৮ জন, ডায়রিয়া (রোটা ভাইরাস) আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৬৩৯ জন ও অন্যান্য শীতজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৮৮৯ জন।

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ২৭৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮৩ জন, রংপুর বিভাগে ৩১৪ জন, খুলনা বিভাগে ৭১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৩১৬ জন, সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ২ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়