শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪৮ সকাল
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাটকীয়তা রেখে দিল আ.লীগ

ডেস্ক রিপোর্ট  : ঢাকা সিটি করপোরেশন প্রার্থী নিয়ে উত্তেজনাটা আরও এক রাত জিইয়ে রাখল আওয়ামী লীগ। শনিবার প্রার্থী ঘোষণার কথা থাকলেও ক্ষমতাসীন দলটি দুই সিটি করপোরেশনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে আগামীকাল। রোববার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে দলটি। এদিকে আজই দুই সিটির জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। উত্তরে মনোনয়ন পেয়েছেন তাবিথ আউয়াল আর দক্ষিণে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।

সাধারণ মানুষসহ রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা উন্মুখ হয়েছিলেন দিনব্যাপী, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। তবে শেষঅবধি তা না করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কারা হচ্ছেন তা নিয়ে কাল রাতভর জল্পনা-কল্পনা চলে রাজনৈতিক অঙ্গনে। উত্তর সিটিতে মেয়র আতিকুল ইসলামই দলীয় মনোনয়ন পাবেন-নিশ্চিত অনেকে। তবে আকর্ষণ আর উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ সিটি। কে পাবেন আওয়ামী লীগের টিকিট ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, নাকি সাঈদ খোকন? জানা যাবে আজ।

এ সিটি করপোরেশনে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে এমন কৌতূহল সবার। প্রার্থী ঘোষণা পিছিয়ে যাওয়ায় শনিবার রাতেও ছিল সংশ্লিষ্টদের দৌড়ঝাঁপ। শেষ মুহূর্তের তদবিরে ব্যস্ত ছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ব্যারিস্টার তাপস, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য। তার বাবা শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তাপসের বড় ভাই পরশ সম্প্রতি পেয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। আর সাঈদ খোকন বর্তমান মেয়র, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় তার পথ বেশ পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে। তবে তিনি বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার অভিভাবক মনে করেন।

এদিকে বিএনপি দক্ষিণে দলীয় প্রার্থী হিসেবে অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে এবং উত্তরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালকে মনোনয়ন দিয়েছে। ইশরাক প্রথমবারের মতো প্রার্থী হলেও তাবিথ ২০১৫ এর নির্বাচনে আনিসুল হকের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন।

আজ সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেয়র প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক দল, আমাদের পক্ষে নির্বাচনে থাকাটাই স্বাভাবিক। এর মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের আন্দোলনটা আরও বেগবান করতে সক্ষম হব, জনগণের কাছে যেতে সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।

এ নির্বাচনে বহুলভাবে আলোচিত হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গ। শনিবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় ছিল ইভিএম। বড় দুটি দলের প্রার্থী ঘোষণার পর এ আলোচনা আরও জোর মাত্রা পায়। শনিবার এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ইভিএমে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ত্রুটিমুক্ত নির্বাচনের জন্যই এ সিদ্ধান্ত।

শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে ওই অঞ্চলের সব পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন সিইসি। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে দেশের সব পর্যায়ের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি প্রচলনের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।

ইভিএম ত্রুটিযুক্ত পদ্ধতি এবং এই পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ বাতিল করে দিয়েছে- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করে সিইসি জানান, বদিউল আলম মজুমদারকে তিনি নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মনে করেন না। ইভিএম পদ্ধতি স্বচ্ছ। এ পদ্ধতিতে একের অধিক ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। একজনের ভোট অন্য কেউ দিতে পারে না।

সরকার তথা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও সোচ্চার সিটি নির্বাচন বিষয়ে। শনিবার কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটা ভালো কথা। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক তা সবাই চায়। কিন্তু নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ হয় সেক্ষেত্রে বিএনপিরও দায়িত্ব রয়েছে। আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে এ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি সরকারের পক্ষ থেকে।

উৎসঃ খোলা কাগজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়