আরিফ জেবতিক : গ্রামের নাপিতের বড্ড হতাশ। লোকেরা ফোড়া নিয়ে এলে সে ক্ষুর দিয়ে ঘ্যাচঘ্যাচ করে কেটে দিয়ে নিমপাতা-হলুদবাটা লাগিয়ে দেয়। এতেই আরাম হয়ে যায়। দিনে দিনে তার পসার বাড়তে লাগলো তো লাগলোই। এদিকে আশপাশের সাত গ্রামের ডাক্তারদের মাথায় হাত। এতো কষ্ট করে এনাটমি পড়ে, ডিগ্রিফ্রিগ্রি নিয়ে চেম্বারে বসে লাভ কী হলো, যদি রোগীরা সবাই নাপিতের কাছেই চলে যায়। তো সব তরুণ ডাক্তার মিলে গেলো শহরে তাদের মুরব্বি ডাক্তারের কাছে।
নাপিত ব্যাটার তো কিছু একটা করা চাই। মুরব্বি ডাক্তার হেসে বললেন, ‘এটা আর এমন কি কঠিন কাজ। তোমরা এক কাজ করো। সবাই মিলে একটা রোগবিরোধী জোট বানাও। নাপিতকেও সেই জোটে রাখো’। যেই কথা সেই কাজ। সব তরুণ ডাক্তার মিলে গেলো নাপিতের কাছে। ‘নাপিত ভাইয়া, নাপিত ভাইয়া, এসো আমরা জোট করি। তোমাকে সাম্রাজ্যবাদ শিখাই, মার্কিন আগ্রাসন বুঝাই, শাসক শ্রেনী দেখাই, বুর্জোয়া আর প্রলেতারিয়েতের বিভেদ শেখাই, ক্লাস স্ট্রাগলের স্বরূপ উন্মোচন করি’। নাপিত সেই জোটে যোগ দিলো। নাপিত নাপতালি রেখে ডাক্তার হতে গেলো। আমার গল্পটি ফুরোলো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :