শিমুল মাহমুদ : শনিবার দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে বিভিন্নভাবে আমাদের দেশকে, আমাদের দেশের মানুষ পরাজিত করা হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) যে লড়াই ছিলো, যে গৌরবময় সংগ্রাম ছিলো সব ধবংস করে দিয়ে আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটা পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। এদেশে তারা পরাধীন করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে পাশের দেশে যাই কিছু ঘটুক না কেনো সেগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার তা নিয়ে আমরা চাই না, চাইওনি। কিন্তু ওইখানে এমন আইন যদি পাস হয়, যে আইন যদি আমাকে আক্রান্ত করে, আমাকে যদি সমস্যায় ফেলে দেয় তাহলে তো সেই কথা বলার অধিকার অবশ্যই আমাদের আছে। আজকে তারা এনআরসি করেছে কোনো আপত্তি নেই আমাদের। সেই এনআরসিতে বাংলাদেশের মানুষের কথা বার বার বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশের মানুষ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে তাদেরকে ফেরত পা্ঠানো হবে।
ফখরুল বলেন, অলরেডি আসামে ১৯ লক্ষ বলেছে, আজকে সেটা নি্য়ে খোদ ভারতে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তারা এই ধরনের ভারত দেখতে চায় না। যেখানে ধর্মে ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি হবে, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি হবে।
তিনি বলা, আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই যে, আমরা সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি না। আমরা সকল ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, আমরা আমাদের মানুষকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিতে চাই না। সেখান থেকে অন্যায়ভাবে বাংলাদেশী নাম করে ফেরত পাঠানো হবে সেটা আমরা কোনো মতেই মেনে নিতে পারি না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এই সরকার এ বিষয়ে কোনো রকমের গুরুত্ব দেয় না। তাদের ব্যর্থতার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সরকার বলছে যে, এটা তাদের(ভারত) অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এখন বলছে, আমরা নেবো পুশ-ইন করবে যাদেরকে তাদের আমরা ফেরত নেবো-বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন। কী দুর্ভাগ্য। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটা দুযোর্গময় একটা ভুখন্ডে পরিণত করতে চলেছে। একদিকে রোহিঙ্গা, অন্যদিকে এখন আমাদের বিরাট সীমান্ত দিয়ে যদি বাংলাদেশী বলে পুশ-বেগ করা হয়- তাহলে এদেশের অবস্থা কী দাঁড়াবে আপনারা সহজে বুঝতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :