লাইজুল ইসলাম : দেশের বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন সেক্টরে ২০১৯ সালে সফলভাবেই শেষ করছে। তবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান ময়ূরপক্সক্ষী ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ছিলো সবচেয়ে আলোচিত। এছাড়া এ বছর বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে কেনা দুটি নতুন ড্রিমলাইনার বিমান বাংলাদেশে যুক্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মান কাজের শুরু করাটাও অপর একটি সফলতা। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন তৃতীয় টার্মিনালের নির্মান কাজ।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১৪২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা দেয় বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী। উড়োজাহাজটির মূলত চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইয়ে যাবার কথা ছিলো।
ফ্লাইটটি যখন ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট ওপরে তখন একযাত্রী ককপিটে গিয়ে এক ক্রুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পিস্তল ও বোমাসদৃশ বস্তু বের করে বিমান ছিনতাই ও ককপিট খুলে না দিলে বিমান উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। খবর পেয়ে ককপিটের দরজা বন্ধ করে দেন পাইলট শফি ও সহকারী পাইলট মো. জাহাঙ্গীর। বার্তা পাঠান চট্টগ্রাম বন্দরে। সেই সঙ্গে উড়োজাহাজটি শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করেন পাইলট। পরে চারটি ইমারজেন্সি দরজা দিয়ে বের করা হয় যাত্রীদের। খবর পেয়ে পুরো উড়োজাহাজ ঘিরে ফেলে পুলিশ, র্যাব, আর্মড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুলের নেতৃত্বে ৮ মিনিটে শেষ হয় অভিযান। উদ্ধার হয় ময়ূরপক্সক্ষী। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের হুমকি দেয়া ব্যক্তিকে। এরপর তিনি মারা যান।
পরে সংবাদ সম্মেলনে ওই সময়ের চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টাকারীকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও করেনি। এরপর গুলি চালানো হয়। তিনি জানান, নিহত ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, তার নাম মাহাদি। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :