আরিফুল ইসলাম, সরাইল প্রতিনিধি : সরাইল উপজেলায় চকলেট দেয়ার প্রলোভনে জয়নব আক্তারকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলা সদরের পশ্চিম কুট্টাপাড়ার হাফিজ মিয়ার মেয়ে ও পশ্চিম কুট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ।
নিখোঁজ হওয়ার ২১ ঘন্টা পর মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে বাড়ির পাশেই একটি বাঁশঝাড়ের ঝোপের ভেতর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় স্কুলছাত্রী জয়নব আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) রাতে থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক যুবককে থানায় নিয়ে আসি। তার দেয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীকে আমরা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে সেই অপরাধী গা ঢাকা দিয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে।
ঘাতক ব্যাক্তি মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে একটি রুমে আটকে ফেলে। পরে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে শিশু মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে, সেই অপরাধী মেয়েটির কপালে আঘাত করে। পরে শিশুটির মুখমন্ডল চেপে ধরে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় সেই অভিযুক্ত বখাটে। এতে স্কুলছাত্রী জয়নব মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে তার লাশ ওই বাঁশঝাড়ে ফেলে আসে। লাশ উদ্ধারের সময় নিহত জয়নবের হাতে চকলেট পাওয়া যায় এবং তার লাশের কপালে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) লাশের ময়নাতদন্ত করানো হবে এবং যেকোনো মূল্যে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে নলকূপ মেরামতের একটি যন্ত্র দিতে পাশের দাদার বাড়িতে যায় জয়নব। ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ে সে তার মাকে বলে ’মা ভাত বাড় ক্ষুধা লাগছে, দাদার ঘর থেকে ফিরেই ভাত খাবো। মা ফেরদৌসা বেগম ভাত নিয়ে অপেক্ষা করলেও মেয়ে জয়নব ফিরে না আসায় খোঁজ করতে থাকে। রাত ব্যাপী খোঁজেও না পেয়ে পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার দিনব্যাপী এলাকায় মাইকিং করে। বিকেলে গ্রামের এক মহিলা বাঁশঝাড়ে কঞ্চি আনতে গিয়ে দেখেন 'জয়নবের লাশ বিবস্ত্র অবস্থায় সেখানে ঝোপের ভেতর পড়ে আছে। পরে পরিবারের লোকদের খবর দেয় ওই নারী। সম্পাদনা : জহুরুল হক