শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৩:০৪ রাত
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৩:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওই রাজাকারদের নাম বললে দেশে আসা হবে না, বললেন গাফ্ফার চৌধুরী

আমাদের সময় : রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের প্রসঙ্গ টেনে ভাষাসৈনিক ও বিশিষ্ট লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে রাজাকারদের তালিকা করার আগে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা আগে করতে হবে। কারণ অনেক স্বাধীনতাবিরোধী আওয়ামী লীগের চারপাশ ঘিরে রেখেছে। তাদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে না পারলে রাজাকারদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘রাজাকারদের তালিকা করবেন, দেখা যাবে রাজাকাররাই এসে তালিকা করছে। এবং তাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার, আর রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতের লোকও আছে। আওয়ামী লীগে কত রাজাকার আছে। বিপদের সময় এরা ভয়ানকভাবে আসে। রাজাকারদের লিস্ট করার আগে এই রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা উচিত।’ এখনো অনেক ‘রাজাকার’ দাপটে রয়েছে, মন্তব্য করে লন্ডন প্রবাসী প্রবীণ এ লেখক বলেন, ‘তাদের নাম বলে লাভ নেই। এমনকি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার আশপাশেও আছে। গণভবন অরক্ষিত করছে। এবং তাদের নাম বললে আমার আর ঢাকায় আসা হবে না। তাদের নাম বলতে চাই না। এই হচ্ছে অবস্থা।’
সংগ্রাম পত্রিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংগ্রাম পত্রিকা কাদের মোল্লকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়েছে। তারা এর আগেও এ রকম কাজ অনেক করেছে। এসব পত্রিকা কঠোরভাবে দমন করা না গেলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে। তারা কীসের শহীদ!?’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল গঠন প্রসঙ্গে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘বাকশাল মাত্র তিন মাস স্থায়ী ছিল। এই অল্প সময়ের কারণে বাকশাল খারাপ কী ভালো, সেটি যাচাই করার সুযোগ হয়নি। আমার ধারণা, বাকশাল থাকলে দেশে এত দুর্নীতি হতো না। বাকশাল থাকলে হয়তো দেশ এত চাকচিক্য হতো না।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশকে ধরে রাখার জন্য শেখ হাসিনা অপরিহার্য। আওয়ামী লীগ একজনের ওপর টিকে আছে। যদি কোনো কারণে দল থেকে শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হয়, তা হলে তাসের ঘরের মতো আওয়ামী লীগ ভেঙে পড়বে।’
স¤প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাবের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। সভাপতিত্ব করেন স¤প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়