তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উৎপাদিত শুটকি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানের দুই শতাধিক ডাঙ্গিতে (মাচায়) শুটকি প্রক্রিয়াকরন শেষে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট-বাজারে। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকার বিভিন্ন ধরণের শুটকি ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এ পেশার সাথে জড়িতরা জানিয়েছে প্রয়োজনীয় পৃষ্ট পোষকতা পেলে নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও তারা অবদান রাখতে পারবেন। প্রসার ঘটবে রপ্তানীমূখী এ ব্যবসা
জেলা সদর , নাসিরনগর, আশুগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা লাল পুরের মেঘনা নদীর তীরে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ নিয়োজিত রয়েছে এ কাজে। ষোল, বেয়াল , বাইম , বজুরী , পুটি সহ নানা জাতের শুটকী উৎপাদন করা হয়। কোন প্রকার ক্যামিক্যাল ছাড়াই সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরী করা হচ্ছে। প্রতি কেজি শুটকী প্রকার ভেদে ২শ টাকা থেকে শুরু করে সর্বেচ্চ ১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে দেড়শতাধিক ডাঙ্গিতে (মাচায়) চলছে শুটকী তৈরীর কাজ। প্রথমে ৮/১০টি ডাঙ্গি দিয়ে এই ব্যবসা শুরু হলেও বর্তমানে এখানে রয়েছে প্রায় দু’শ ডাঙ্গি। নদীতে মাছ ধুয়ে মাচায় শুকানোর পর বাজার জাত করা হয় এসব শুটকী। আশ্বিন থেকে চৈত্র এই ৬ মাস পর্যন্ত চলে এখানে শুটকি উৎপাদনের কাজ। শুটকি তৈরীর প্রক্রিয়ায় কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার শ্রমিকের। স্বচ্ছলতা ফিরেছে তাদের পরিবারে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানী হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত শুটকি। তবে ব্যাংক ঋনের সুবিধা না থাকায় শুটকী উৎপাদনকারীদের দাদন ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে থাকতে হচ্ছে। সহজ শর্তে ঋন না পাওয়ায় লাভজনক এ ব্যবসাটির বিকাশ ঘটছেনা। শুটকী ব্যবসায়ী উৎপল চন্দ্র দাস জানান চলতি মওসুমে আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ব্যবসা ভাল সহজ শর্তে ঋণ পেলে এ ব্যবসা আরো এগিয়ে যেত। চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ শাহ আলম এ ব্যবসার প্রসারে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন ।
আপনার মতামত লিখুন :