শাহীন চৌধুরী: বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালে মিশ্র জ্বালানিতে উৎপাদনে একটি ভারসাম্য আসতে পারে।ওই সময় তেলচালিত বিদ্যুতের উৎপাদন ১২ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদন আরও বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ৪৬ হাজার ৫৯৮ মেগাওয়াট করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।
তথ্যমতে, ওই সময় এলএনজি মিশ্রিত গ্যাস থেকে ২০ হাজার ৩০৮ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হবে-যা মোট উৎপাদনের ৪৪ শতাংশ। কয়লা থেকে ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে-যা মোট উৎপাদনের ৩২ শতাংশ।এরপর তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন হবে ৫ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট, যা মোট উৎপাদনের ১২ শতাংশ। এছাড়া ৩ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে, যা হবে চাহিদার ৮ শতাংশ। অন্যদিকে, জল থেকে এখন পযর্ন্ত যে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, তাইই ঠিক থাকবে, এর পরিমাণ মোট উৎপাদনের মাত্র ১ শতাংশ।
প্রতিবেদন মতে, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০৩০ সালেও বের হয়ে আসতে পারবে না বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে যেখানে ৩ হাজার ৬৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তেল থেকে উৎপাদন হতো, এখন ২০১৯ সালে তা আরও বেড়ে ৭ হাজার ৪৪৪ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। আগামী বছর তা আরও বেড়ে ৭ হাজার ৮৫৫ মেগাওয়াট হবে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এই পরিমাণ বৃদ্ধি চলতেই থাকবে। তবে এরপর আবার কিছুটা কমে যাবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে গিয়ে তেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ৬ হাজার ৭৮৭ মেগাওয়াট। এরপর ২০৩০ সালে গিয়ে হবে ৫ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।
এ প্রসঙ্গে বিপিডিবির জেনারেল ম্যানেজার মীর কাউসার আলী জানান, আমরা তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ শেষ হলে আর নবায়ন করছি না। এভাবে তেলচালিত কেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।