জাহিদুল কবির, যশোর প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর এলাকার আনসার সদস্য হোসেন আলী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িত সাতজনকে আটক।
এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। ঢাকা, যশোর ও মাগুরায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশের দাবি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলো রাসেল, আনোয়ার, হাবিল ওরফে বার্মিজ হাবিল, বিজয় কুমার বিশ্বাস, সুজন, সজল হোসেন ও আলী রাজ বাবু ওরফে ছোট বাবু।
প্রেসবিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ৩০ নভেম্বর হাশিমপুর বাজারে মোশারেফের চায়ের দোকানে অবস্থানকালে আনসার সদস্য হোসেন আলীকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হওয়ার পর ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে গত ১২ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানা পুলিশ আমিনুর রহমান মিঠু নামে একজনকে আটক করে। এরপর তার দেয়া তথ্য মতে ডিবি পুলিশের একাধিক টিম ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার ভাসানটেক ও কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত রাসেল, আনোয়ার, হাবিল ওরফে বার্মিজ হাবিল, বিজয় কুমার বিশ্বাস, এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই দিন রাতে হাশিমপুর থেকে সুজন ও সজল হোসেন এবং শনিবার গভীর রাতে মাগুরার আড়পাড়া থেকে আলী রাজ বাবু ওরফে ছোট বাবুকে আটক করা হয়।
এছাড়া তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি মোটারসাইকেল, একটি ধারালো চাকু ও ১০ টি মোবাইল সেটসহ একাধিক সিম উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, হোসেনে আলী এক সময় চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন। সে সময় একই এলাকার মুন্নার পিতা বুলি ও জুয়েলের ভাই বাবলা হত্যার শিকার হোন। ওই হত্যাকণ্ডের সাথে হোসেন আলী জড়িত থাকতে পারে এ সন্দেহ থেকে প্রতিশোধ নিতে ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে হোসেন আলীকে হত্যা করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানি, ডিবির ওসি মারুফ আহম্মেদ, কোতযালি ওসি মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের কর্মকার্তরা।সম্পাদনা:জেরিন মাশফিক
আপনার মতামত লিখুন :