শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

মহসীন কবির : একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামের প্রথম তালিকা ঘোষণা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দ্বিতীয় দফায় রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ১০ হাজার।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় 'রাজাকারের তালিকা' প্রকাশের সহায়তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠালে সেখান থেকে প্রায় ১১ হাজার ব্যক্তির একটি তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। জানা গেছে, স্বাধীনতার পর দালাল আইনে যেসব ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছিল সেই মামলাগুলোর রেকর্ড থেকে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এটি নতুন কোনো তালিকা নয়। বরং রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে যারা ভাতা নিয়েছেন বা যাদের নামে অস্ত্র এসেছে, তাদের নাম-পরিচয় ও ভূমিকাসহ তালিকা সেই ১৯৭১ সালেই জেলাসহ স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেই রেকর্ড সংগ্রহ করে এই তালিকা করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গত শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত রেকর্ড এবং জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে এই 'রাজাকারের তালিকা' প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার জনের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। এদের এবং একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোকে বিচারের আওতায় আনা হবে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'আপাতত তালিকা প্রকাশ করছি, সংগঠনের বিচারের বিষয়টিও পরে ভাবা যাবে।'

গত মে মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সে অনুসারে যেসব রাজাকার মুক্তিযুদ্ধের সময় থানা ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নিত তাদের তালিকা পাঠানোর জন্য গত ২১ মে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরে ২৮ আগস্ট আবারও তাগিদপত্র দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এরপর মাত্র ১০ জেলা থেকে ৩৯৯ জন রাজাকারের তালিকা আসে। সেসব তালিকায় যশোরে ১২৬, চাঁদপুরে ৯, মেহেরপুরে ১৬৯, শরীয়তপুরে ৪৪, বাগেরহাটে এক এবং নড়াইলে ৫০ জনের নাম আছে। খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা জেলায় কোনো বেতনভোগী রাজাকার ছিল না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়