এনডিটিভি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অংশে চলমান বিক্ষোভের পিছনে আসলে হাত রয়েছে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এমনটাই অভিযোগ বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহার। শনিবার রাহুল জানিয়েছেন, রাজ্যে এমন পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে তবে বিজেপি রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন লাগুর চেষ্টা করবে।
রাহুল সিনহা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার সংখ্যালঘু ‘তোষণের নীতি'র জন্য দোষারোপ করেছেন। রাহুল সিনহার দাবি, এই তোষণের ফলেই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাহুল সিনহা বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর করার বিষয়ে গত দু'দিন ধরে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামলানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী খুব কমই ভূমিকা নিয়েছেন।"
তিনি বলেন, “আমরা কখনই রাষ্ট্রপতি শাসনকে সমর্থন করি না। তবে পশ্চিমবঙ্গে যদি এই ধরণের অরাজকতা অব্যাহত থাকে, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন চাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না। পুরো রাজ্য যখন জ্বলছে তখন তৃণমূল সরকার কেবল নীরব দর্শক,” কলকাতায় সাংবাদিকদের বলেন রাহুল সিনহা।
দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে রাহুল সিনহা বলেন যে তিনি নিজেই নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে জনতাকে উদ্বুদ্ধ করছেন। রাহুল সিনহা বলেন, “হিংসার পিছনে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছেন, এখানকার শান্তিকামী মুসলিম সম্প্রদায় নয়। বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের সতর্ক হওয়া উচিৎ যে তাদের নাম দাঙ্গাবাজরা যেন কলঙ্কিত না করে।” জনসাধারণের সম্পত্তি নষ্টকারীদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার কথা উল্লেখ করে এই বিজেপি নেতা জানান আসলে একটি ‘রুটিন বিবৃতি' দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি অতীতেও প্রায়শই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটবাক্সের জন্য মুসলিম তোষণের অভিযোগ এনেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিরোধী দল থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংস করার এই তোষণের রাজনীতিকে উত্সাহিত করেছিলেন।”
“যেহেতু বাংলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, এখন তারই নিজস্ব তোষণের নীতি, তার অতীতের আচরণ ব্যুমেরাং হয়ে দেখা দিচ্ছে। তিনি পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।” তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম হিংসাত্মক আন্দোলনের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই আচরণ কেবল বিজেপিকেই রাজ্যের জনগণের মেরুকরণে সহায়তা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :