শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:১৭ সকাল
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাইবান্ধায় ২০ পরিবারের তিন শতাধিক বিঘা জমি বেদখলের অভিযোগ !

রফিকুল ইসলাম , গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের কথিত ভূমিদুস্য শহিদুল ডাকাতের দলের লোকজনের হাতে ইদ্রিস মোল্লা গং সহ ২০ পরিবারের বাগবাড়ি , দেলুয়াবাড়ি ও খঞ্চাপাড়া চরের আবাদি তিন শতাধিক বিঘা জমি বেদখলের অভিযোগ প্ওায়া গেছে!

ইদ্রিস মোল্লার অভিযোগে জানা যায়, শহিদুল ডাকাতের বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, হত্যা, গুম ও ডাকাতিসহ কমপক্ষে ১০টি মামলা নিজ জেলা গাইবান্ধাসহ জামালপুর বগুড়া জেলায় আদালতে চলমান রয়েছে। সকল মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হলে তারা পলাতক থাকায় র্যাব-১২ বগুড়ার একটি চৌকস টিম শহিদুলকে ও তার সহোদর ভাই হাফিজুরকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।

কমপক্ষে দু বছর হাজতবাস করে আনুমানিক তিন মাস পুর্বে শহিদুল ডাকাত জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে এসেই ইদ্রিস মোল্লার পরিবার তাকে ধরে দিয়েছে মর্মে অপপ্রচার চালাতে থাকে। সেই প্রতিহিংসায় শহিদুল ও তার দলবল ইদ্রিস মোল্লাার নিকট থেকে তার মামলায় খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে । শহিদুলের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ইদ্রিস মোল্লা গংদের পরিবারের তিনটি মৌজায় থাকা আবাদী ফসলি জমি একের পর এক পিস্তলের ভয় দেখিয়ে বেদখল করতে থাকে।
এভাবে তিনটি মৌজার ইদ্রিস মোল্লা গংদের তিনশত বিঘা জমি বেদখল দিয়েছে। ইদ্রিস মোল্লা তার জমিতে টাকা ছাড়া গেলে গুলি করে হত্যা করবে বলে শহিদুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে। জীবনের ভয়ে ইদ্রিস মোল্লা ও তার পরিবার তার বাপ দাদার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে গিয়ে ফসল ফলাতে বা আবাদ করতে পারছেনা। জমি জমা হারিয়ে পরিবারগুলি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ইদ্রিস মোল্লার অভিযোগে আরো জানা যায়, আমার পিতা আব্দুল কাদের মোল্লা । আমার পিতার মৃত্যুতে ৪ ভাই আসান মোল্লা , জয়নাল মোল্লা, আবু বক্কর মোল্লা ও আমি ইদ্রিস মোল্লা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসিতে থাকি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আসান মোল্লা, জয়নাল মোল্লা ও আবু বক্কর মোল্লা মৃত্যু বরণ করলে তাদের ওয়ারিশগণসহ সুখে শান্তিতে সকলেই একই খতিয়ানভুক্ত জমি ভাগ বাটোয়ারা করে ভোগ দখল করিয়া আসিতে থাকি।

সেইসব জমির মধ্যে হতে জামিনে ছাড়া পেয়ে ভ‚মিদুস্য শহিদুল ডাকাত গং বাগবাড়ি মৌজার (১ ও ২ নং সীট) যার জেএল নং ৭৭ খতিয়ান নং ৪৯ জমির পরিমান ১৬দশমিক ৪৩ একর, খতিয়ান নং ৪৮ জমিন পরিমান ২ দশমিক ৬০ একর ও ৮ নং খতিয়ানে ১২ একর জমিসহ মোট ৯৩ বিঘা জমি বেদখল দিয়েছে।অপর মৌজা দেলুয়াবাড়ি(২নং সীট)যার জেএল নং ৭৮, খতিয়ান নং ১৪১ জমির পরিমান ৯ দশমিক ৯৫ একর ও ২৭ নং খতিয়ানভুক্ত জমির পরিমান ৯ দশমিক ৯০ একর জমি যা বিঘায় প্রায় ৬০ বিঘা জমি বেদখল দিয়েছে। এছাড়া খঞ্চাপাড়া মৌজা (যার সীট নং ৩) জেএল নং ৭৬ খতিয়ান নং ১৯ জমির পরিমান ১০ দশমিক ৭৫ একর,খতিয়ান নং ৬ জমির পরিমান ১৪ দশমিক ৫৮ একর ও খতিয়ান নং ৬৪ জমির পরিমান ২০ দশমিক ৩৩ একর সহ যা মোট বিঘায় ১৩৭ বিঘা জমি বেদখল দিয়েছে। জমির বেদখল ছাড়াতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের মাতব্বরদের কাছে একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি।

কোনো ভাবেই তাদের হাত থেকে বেদখল জমি জমা উদ্ধার করিতে পারিনাই।ভুক্তভোগি ইদ্রিস মোল্লা পরিবারের লোকজনের দাবি বিভিন্ন মামলায় থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে কথিত ডাকাত শহিদুল ও তার দলবল যেভাবে অত্যাচার করেছে তাতে যে কোনো সময় তাদের জীবন ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে ।

ইদ্রিস মোল্লা আরো জানান, শহিদুলের বড় ভাই সাইদুর ডাকাত, ভগ্নিপতি নওশাদ ডাকাত ও তার খালাতো ভাই আলমসহ আরো অনেকেই ধারালো রামদা ও কাটা রাইফেল ও পিস্তল নিয়ে তাড়িয়ে মারতে আসে। শুধু আমার পরিবার নয় ওই তিন চরের আরো অনেক পরিবারের জমি জমা ভয় দেখিয়ে বেদখল দিয়ে রেখেছে । তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবনের নিরাপত্তা না থাকায় কেহ কথা বলছেনা বলেও জানান।তিনি আরো বলেন ওই পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে ৫/১০টি করে মামলা রয়েছে।

এব্যাপারে শহিদুল ইসলামের ভাই ইউপি সদস্য হাফিজুর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইদ্রিস মোল্লার সাথে জমিজমা বিষয় নিয়ে বসার কথা ছিলো কিন্তু আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব ব্যাস্ততার কারনে দুদফা শালিস ডেকেও বসতে পারেনি। সম্পাদনা:জেরিন মাশফিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়