শিরোনাম
◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৩:৩৩ রাত
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৩:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগামী বছর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে, জানালেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

আবুল বাশার নুরু : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। কিন্তু কোথাও সঠিক তালিকা আসছিল না। অনেকেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে তালিকায় নাম দিয়েছিলেন। এ কারণে চাইলেও ৪৮ বছরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা যায়নি। ২০২০ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আগে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সঠিকভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশের জন্য জেলা প্রকাশন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কাছে তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই বিভিন্ন জেলা থেকে তালিকা এসেছে। তবে অনেক জেলা প্রশাসন থেকে এখনও তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে আসেনি। যে কারণে এ তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হলেও ২৫ মার্চ কালরাত থেকেই পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করে হত্যা করতে শুরু করে। সে সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় দোসররা তাদের বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন করে। যুদ্ধের শেষপর্যায়ে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা।

স্বাধীনতার পরপরই বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করে তৎকালীন সরকার। ১৯৭১ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে গঠিত হয় বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন। পরবর্তীকালে গঠন করা হয় বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটি। তবে এর কোনোটি থেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি।

তালিকা না থাকলেও বুদ্ধিজীবী দিবসসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। মূলত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের তালিকা অনুযায়ী এ আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ৬১ শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারকে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। যার মধ্যে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, শিল্পী আলতাফ মাহমুদ, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ডা. আলীম চৌধুরী, সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, আনোয়ার পাশা, মধুর ক্যান্টিনের মধুসূদন দে ওরফে মধুদা, অধ্যাপক আবদুল ওয়াহাব তালুকদার, কবি মেহেরুন্নেছা, ক্যাপ্টেন একেএম ফারুক, রাশীদুল ইসলাম, মো. সলিমুল্লাহ, আবদুস সাত্তার, নিজাম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন আখন্দ, মনিরুল ইসলাম আখন্দ, জগৎ ভূষণ দত্তের পরিবার উল্লেখযোগ্য। সূত্র: বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়