শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪৬ সকাল
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘সু চি নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক’

মির্জা ইয়াহিয়া : পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ দিতে কিংবা স্বৈরাচারকে উৎখাতে যারা দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেন তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের একধরনের টান থাকে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় মাহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। অনেক দিক দিয়েই তারা আমাদের রোল মডেল। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর আমাদের অঞ্চলে রাজনীতির দিক দিয়ে যারা সবার রোল মডেলে পরিণত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম অং সান সুচি। তিনি যখন তখনকার বার্মায় (বর্তমানে মিয়ানমার) সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছেন, তখন আমাদের দেশেও এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সেই সময় থেকে তাকে ফলো করতাম।

নিজ দেশে গণতন্ত্র আনতে গিয়ে তার ব্যক্তিজীবনের ত্যাগ-তিতিক্ষা তখন আমাদের ব্যথিত করতো। ১৯৯১ সালে সুচি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে তার প্রতি আমার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। বিপরীতে মিয়ানমারের সেনা শাসকরা সুচির প্রতি নিপীড়ন আরও বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে দেশে শুধু নয় সারাবিশ্বেই তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে তার জোরালো অবস্থানের কারণে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আরও পুরস্কার ও সম্মান পান তিনি। দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের পর ২০১৫ সালে মিয়ানমারে প্রত্যক্ষ সেনাশাসনের অবসান হয়। ক্ষমতায় আসে সুচি ও তার দল।

কিন্তু সেনা শাসকদের কিছু আইনের কারণে সুচি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তবে দেশের স্টেট কাউন্সেলর হিসেবে আছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর সুচির মধ্যে পরিবর্তন আসে। তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ ও সেনাদের যে মানসিকতা সুচি সেই মানসিকতাই দেখাচ্ছেন। তার সময়েই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা হয়েছে। অনেকের উপর এখনো অত্যাচার চলছে। প্রাণ বাঁচাতে অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছে। শুধু মানবিক কারণে এদের আশ্রয় দেয়ায় আমাদের দেশ সারাবিশ্ব থেকেই সম্মান পেয়েছে। বিপরীতে সুচির প্রতি বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা কমছে, বাড়ছে ঘৃণা। সর্বশেষ তিনি যে কাজটি করছেন সেটি হচ্ছে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের সেনাদের গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাইছেন।

আর রোহিঙ্গাদের নিন্দামন্দ করছেন। একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর কাছ থেকে এমনটা শুধু আমি নই, পৃথিবীর শান্তিকামী কেউ আশা করেনি। একসময়ের শান্তি-কন্যা সুচি এখন অশান্তি-কন্যায় পরিণত হয়েছেন। এখন মনে হয়, নব্বই দশকের শুরুতে তার প্রতি আমার যে সিমপ্যাথি তৈরি হয়েছিলো, তা আসলে ভুল ছিলো। তিনিও একজন ক্ষমতালোভী ছাড়া আর কিছুই নন। কারণ শুধু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতেই রোহিঙ্গাদের প্রতি ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রতি অবিচার করছেন। তাই বলতে চাইÑ ‘সুচি নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক’। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়