বিশ্বজিৎ দত্ত: বেতনের বাইরে সামাজিক নিরাপত্তা ও আইন সংশোধনের জন্য আন্দোলন করেছে নৌ ও পরিবহন সেক্টরের শ্রমিকরা। বকেয়া আদায়সহ নানা দাবিতে শ্রমিক আন্দোলন জোরালো হয়ে উঠছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।যার ফলে দেশে আয় বৈষম্য বাড়ছে।মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের কাছে সম্পদ জড়ো হচ্ছে।অন্যদিকে বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ না বাড়ায় মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। বাড়ছে বেকার। একই সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬ কাছাকাছি চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ইস্যুতে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি সিপিডি দেশের আর্থিক খাতের মূল্যায়ণ রিপোর্টে দাবি করেছে। ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অতিরিক্ত ব্যয় ও দীর্ঘ সূত্রিতায় সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বরাদ্দ কমে গেছে।যেগুলোতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো। এসব খাতে এখন মানুষের অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। তাতে তাদের মজুরিতে টান পড়েছে।অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অতিদরিদ্র ২ কোটি মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বৃদ্ধির জন্যও বলেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে গাজীপুরের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা এরজন্য রাস্তাও অবরোধ করেছে।গত মাসে আশুলিয়া ও মিরপুরের বেশ কিছু গার্মেন্টস বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেছে। সারাদেশের পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন। মিডিয়াতে গত ৬ মাসে ৪৫০ জন সাংবাদিক ও কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কোন কোন মিডিয়াতে ৩ থেকে ৬ মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। ইতোমধ্যে এস এ টিভির সাংবাদিকরা ধর্মঘট করেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে ধর্মঘট করেছেন নৌপরিবহন শ্রমিকরা। সড়ক পরিবহণ শ্রমিকারা সড়ক আইন সংশোধনে ধর্মঘট করেছেন। এমপিওভ‚ক্ত নন এমন শিক্ষকরা আন্দোলন করেছেন বেতন বৃদ্ধির জন্য।
বিজিএম্ইএর সভাপতি রুবানা হক সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত ৬মাসে ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। ২৯ হাজার শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়েছেন। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। ফলে পোশাক রপ্তানি আয় কমে গেছে। দেশের রপ্তানিতেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ কারেণই গার্মেন্টস কারখানায় বেতন বকেয়া পড়েছে। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও/সারোয়ার জাহান