শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:৩২ সকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রুম্পার রহস্যজনক মৃত্যুর কিনারা করতে পারছে না পুলিশ

মাসুদ আলম : স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর রহস্য ৭ দিনেও উদঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। সন্দেহভাজন হিসেবে রুম্পার বন্ধু আবদুর রহমান সৈকতকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ ও মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই বাচাই চলছে। তবে রুম্পার পরিবারের দাবি সৈকতই সব জানেন। তার মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।

আন্দোলনের মুখপাত্র ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জিসাদ মোহাম্মদ বলেন, রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে। একজন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদন এখনও পৌঁছায়নি। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে তাদের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করবো।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উন্মোচনের দাবি জানাচ্ছি। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত গতকাল আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা করা হয়েছে। গত গত বুধবার গভীর রাতে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার সামনে থেকে রুম্পার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি রাজীব আল মাসুদ বলেন, উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্ত চলছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। রুম্পাকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিলো, নাকি সেই রাতে একাই ছাদে উঠে নিজে লাফিয়ে পড়েছিলেন, নাকি কৌশলে তাকে ছাদে নিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছিলো তা এখনো নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে সৈকত প্রেমের সর্ম্পক প্রত্যাখান করায় রুম্পা আত্মহত্যা করে। আর ‘হত্যার প্ররোচনায়’ রুম্পার মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করা যায়। ঘটনার আগে রুম্পার সঙ্গে কার কি কথা হয়েছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত দাবি করেছেন, রুম্পাকে হত্যা করেননি। তার সঙ্গে তিন মাসের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার বাবা ও চাচার মৃত্যুর পর সম্প্রতি তিনি রুম্পাকে জানিয়ে দেন, তার পক্ষে আর সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয়। এরপরও রুম্পা সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। ঘটনার দিন বিকেলেও রুম্পার সঙ্গে তার কথা হয়েছিলো। তবে কিভাবে মারা যান সেটা জানা নেই তার।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুম্পা ও সৈকতের কয়েকজন সহপার্ঠী নজরদারীতে রয়েছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাসায় মোবাইল ফোন ও তার সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র রেখে যায়। লাশ উদ্ধারের আগে চার ঘণ্টা কোথায় ছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়