কামরুল হাসান মামুন : চলে গেলেন অধ্যাপক অজয় রায়। আরও একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র ঝরে পড়লো। একে একে আমাদের বরণ্যে শিক্ষকদের আমরা হারিয়ে ফেলছি। ছাত্রাবস্থায় তাকে কেবল ভালো শিক্ষক হিসেবেই জেনেছি। তিনি যে কতো বড় মনের মানুষ ছিলেন সেটা শিক্ষক হওয়ার পর জেনেছি। আপাদমস্তক একজন সুন্দর মনের মানুষ। কেবল জীবিতাবস্থাতেই নয়, মৃত্যুতেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করে মানুষের মঙ্গলের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
শুধু নিজে একা নন। ছেলে অভিজিৎও এবং সম্ভবত তার স্ত্রীও। ভাবা যায়? স্যার আমার সরাসরি শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষেই স্যারের ক্লাস পেয়েছি। শিক্ষক হিসেবে তিনি যেমন উঁচু মানের ছিলেন তেমনি ছিলেন চলনে-বলনে। সব ভালোর এক অপূর্ব মিথষ্ক্রিয়া। তবে বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি অবসরে যান ফলে সহকর্মী হিসেবে তার সাহচর্য পাওয়ার সৌভাগ্য তেমন হয়নি। মাঝে মাঝে ভাবি এতো সুন্দর মানুষটার সঙ্গে কেন আরও ঘনিষ্ঠতা হলো না। আসলেই এই মানুষটির কষ্টের কথা মনে হলে ভাবি কতো সুন্দর করে নিজের কষ্টগুলোকে লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন। যতোবার তার কথা মনে হয় বুকের ভেতর একদম মোচড় দিয়ে উঠে। লেখাটির শিরোনাম করা হয়েছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন-এর সৌজন্যে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :