সাইদ রিপন: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ২৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চাহিদা ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও ঢেলে সাজানো হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নতুন করে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, টানেলযুক্ত মাল্টি লেভেল কার পার্কিং, নতুন কার্গো কমপ্লেক্স, ভিভিআইপি কমপ্লেক্স ও রেসকিউ অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং সুবিধা যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বছরে ২ কোটি যাত্রী সেবা দিতে সক্ষম হবে বিমানবন্দরটি। বর্তমানে এই বিমানবন্দরে বছরে ১ কোটি ২০ লাখ (১২ মিলিয়ন) যাত্রী পরিবহনে সক্ষম।
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি’ প্রথম সংশোধন করে অনুমোদন দিয়েছে একনেক।এই প্রকল্পটির মূল প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১১ হাজার ২১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা ছিল জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ করার উদ্যোগ ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে জুন ২০২৫ সাল পর্যন্ত।ফলে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় তিন বছর এবং ব্যয় বাড়ে ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা।
একনেক সভায় জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় প্রথমে ২ লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে নির্মিত হবে তিনতলা বিশিষ্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল-থ্রি নির্মাণ করার কথা ছিল। এখন এই কাজের পরিধি বেড়ে ৪ হাজার বর্গমিটার হয়েছে। প্রায় ৬২ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে টানেলযুক্ত মাল্টি লেভেল কার পার্কিং, চার লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ বর্গমিটার জুড়ে থাকবে পার্কিং অ্যাপ্রোন। প্রকল্পের নকশাও পরিবর্তন করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সুবিধা সংযুক্তিসহ মূল টার্মিনাল ভবন-৩ এবং কার্গো কমপ্লেক্সের কাজের পরিধি পরিবর্তন করা হয়েছে।উন্নত ভবন ব্যবস্থাপনা সিস্টেম অন্তর্ভ‚ক্ত করা হয়েছে।পৃথক পৃথক আমদানি-রফতানি ভবন নির্মাণ করা হবে।পৃথক ভিআইপি ভবন বাতিল করে একই ভবনের নীচে এটা নির্মিত হবে। ঠিকাদারের মাধ্যমে মূল ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।কাজের পরিধি পরিবর্তন এবং পরামর্শক সেবার মেয়াদ ৩৬ মাস থেকে বেড়ে ৪৮ মাস করা হয়েছে।বাস্তবতার নিরিখে প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সভা সূত্র আরো জানিয়েছে, ৫ হাজার ৯০ বর্গমিটার জুড়ে ভিভিআইপি কমপ্লেক্স ও ১ হাজার ৮২০ বর্গমিটার জুড়ে থাকবে রেসকিউ অ্যান্ট ফায়ার ফাইটিং সুবিধা।প্রায় ৬৬ হাজার ৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে থাকবে ট্যাক্সিওয়ে। প্রায় ৪১ হাজার ৫০০ বর্গমিটার জুড়ে থাকবে আরও একটি ট্যাক্সিওয়ে। জরুরি মুহুর্তে বের হয়ে আসার দুটি পথ থাকবে। জলাধার ও পানি সরবরাহের নতুন ব্যবস্থা থাকবে প্রকল্পের আওতায়।বর্তমানে দৈনিক সরকারি-বেসরকারি, সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২৩৫ থেকে ২৪০টি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।
আপনার মতামত লিখুন :