মো. আখতারুজ্জামান : আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা মোটেও কম নয়। তুলনামূলক খুব কম সংখ্যক ব্যবসায়ী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। আমাদের কর্মকর্তারা যেমন চেষ্টা করে যাচ্ছেন তেমনিভাবে সব ব্যবসায়ীকে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী জরিমানার ব্যবস্থা আছে। এ ক্ষেত্রে একদিকে যেমন আহ্বান করা হবে অন্যদিকে বাধ্য করা হবে। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহের র্যালি উদ্বোধনকালে তিনি এসব বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আছে তা নিবিড় থাকবে। দেশ সেবার ব্রত নিয়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জিডিপির গ্রোথ ভালো। এ গ্রোথকে ধরে রাখতে হবে। জিডিপির গ্রোথের সাথে সাথে রাজস্বের গ্রোথ বাড়াতে হবে। কারণ এটার সাথে আমাদের দেশের উন্নয়ন জড়িত। যদি রাজস্ব আদায়ের গ্রোথ না বাড়ে তাহলে দেশে যে সব উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে তা নিজস্ব অর্থায়নে করা কষ্টসাধ্য হবে।
তিনি বলেন, আমরা যারা সেবা দেই বা পণ্য তৈরি করি তারা সেবা বা পণ্যের মূল্যের সাথে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করে দেই। সাধারণ মানুষ যখন সেবা বা পণ্য ক্রয় করে তখন তারা ভ্যাট পরিশোধ করে। এরপর সেবা বা পণ্য সবরারহকারিদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের দেয়া ভ্যাট সরকারের কাছে দেয়া। এটা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর এটা ভোক্তা ও ব্যবসায়ী সবাইকে জানানোর জন্য ভ্যাট দিবস পালন করা হয়ে থাকে। অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ। আমাদের এর চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন ছিলো এবং সেটি কাঙ্খিত ছিলো। গত বছর ভ্যাট আহরণ হয়েছিলো মোট রাজস্বের ৩৯ শতাংশ।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ধরে শীর্ষে ভ্যাট। জাতীয় রাজস্ব আহরণে ভ্যাটের অবদান আরও বাড়তে হবে। র্যালিটি রাজস্ব বোর্ডের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মসজিদ ও মৎস্য ভবন হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে দিয়ে আবার রাজস্ব ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও