শিরোনাম
◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:২২ সকাল
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক: ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয় নিশ্চিত জেনে প্রথিতযশা ও খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালায় পাক হানাদর বাহিনী। এ বর্বর হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী নিন্দিত। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আগামী ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।শিক্ষাডটকম

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করতে বলা হয়েছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ১৪ ডিসেম্বর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন আলোচনা সভা আয়োজন করতে হবে।

সূত্র আরও জানায়, গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এত সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় কর্মকর্তারা জানান, মহান মুক্তিযদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকদের ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর সংঘঠিত এ হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষতে স্তম্ভিত করেছিল। তাই, জেলা ও উপজেলায় স্কুল কলেজ, মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যথাসময়ে এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

সে প্রেক্ষিতে সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তৎপর্য তুলে ধরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটির আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটির আলোচনা সভা আয়োজনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অধিদপ্তরগুলোকে পাঠানো হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ২৮ নভেম্বর এ সংক্রান্ত চিঠি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। গত ১ ডিসেম্বর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তৎপর্য তুলে ধরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটির আলোচনা সভা আয়োজনে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়