শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৮ দুপুর
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নেতৃত্বে চমক দেখার অপেক্ষায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা

ইয়াসিন আরাফাত : আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন। বিগত সম্মেলনগুলোতে নেতৃত্ব নির্বাচনে কোন না কোন চমক দেখিয়েছে দলটি। তাই এবারের সম্মেলনেও তেমন কোন চমক থাকবে কিনা তা দেখার অপেক্ষায় আছে দলের নেতাকর্মীসহ দেশের রাজনীতিসচেতন মানুষ। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অনেকেই মনে করছেন, সম্মেলনের আগে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের ফলে এবার হয়তো দলের বঞ্চিত, ত্যাগী, পরীক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন নেতারা স্থান পাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পদে। তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণের যথাযথ পদক্ষেপও নেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, এমন আশাবাদ নিয়ে অপেক্ষা করছেন তারা। অন্যদিকে এবার বিতর্কিতরা যে কোন পদ পাচ্ছে না তাও অনেকটা নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্মেলন উপলক্ষে শেখ হাসিনার ধানমন্ডি কার্যালয়ে সমাগম বেড়েছে সাবেক ছাত্রনেতা, জেলার প্রবীণ নেতা থেকে শুরু করে দলীয় এমপিদের। যদিও এবারের সম্মেলনে বাড়ছে না কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের আকার। গঠনতন্ত্রেও থাকছে না বড় কোনো চমক। তবে এবারের সম্মেলনে নেতৃত্বের গুণগত পরিবর্তন আনতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য তিনি সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষ ও পরীক্ষিত পরিচ্ছন্ন ইমেজের ব্যক্তিদের নিয়ে সংগঠনকে ঢেলে সাজাবেন। সরকারের তিন মেয়াদে যারা যোগ্যতা থাকার পরও দলের মনোনয়ন পাননি কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাননি অথবা লাভজনক কোনো পদে বসতে পারেননি তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে। একইভাবে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেয়া হতে পারে তাদের, যারা নানাভাবে বিতর্কিত।

জানা গেছে, মন্ত্রী-এমপিসহ বেশ কজন হেভি ওয়েট নেতার কপাল পুড়তে পারে। একইভাবে বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে থেকে যারা দায়িত্ব পালন না করে ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশি মনোযোগী ছিলেন এবং যারা প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারির কাজ নিয়েছেন, তারাও বাদ পড়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক নেতার বিরুদ্ধে মনোনয়ন ও কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তাদের কেউই ঠাঁই পাবেন না কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

এটা নিশ্চিত, সভাপতি পদে শেখ হাসিনাকেই চাইবেন কাউন্সিলররা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকালও বলেছেন, সভাপতি ছাড়া অন্যান্য পদে প্রার্থী রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসছে কি না, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। জানা গেছে, এবার বাদ পড়ার আশঙ্কা আছে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় অর্ধেক সদস্যের। প্রেসিডিয়ামের দু-একজন তারকা নেতার স্থান হবে উপদেষ্টা পরিষদে। সম্পাদকমণ্ডলীর অনেককে সদস্য করা হতে পারে। একইভাবে সদস্য থেকেও কেউ কেউ উপদেষ্টায় যেতে পারেন। একইভাবে পদোন্নতি হতে পারে যারা দায়িত্ব পালনে শতভাগ মনোযোগী ও সৎ নেতাদের।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে কেমন পরিবর্তন হতে পারে জানতে চাইলে গতকাল দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা মন্ত্রীসভার মতোই। মন্ত্রীসভাও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এখানে পারফরম্যান্সের বিষয় রয়েছে। যারা নন-পারফরমার, যাদের পারফরম্যান্স পুওর, তাদের অহেতুক বড় দায়িত্বে রেখে তো লাভ নেই। সে বিচারে পারফরম্যান্স যাদের পুওর তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের এখানে কেউ বাদ যাবে না, কেউ বাদ যায় না; দায়িত্বের পরিবর্তন হয়।’ সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়