অজয় দাশগুপ্ত : সন্তানকে বাঁচতে দেয়নি সমাজ। নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো তাকে। এর আগেও রাজপথে এমন হত্যাকা- দেখে স্তব্ধ জাতি বিচার চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত। সারাজীবন শিক্ষকতা করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষের মতো মানুষ করার মানুষটি পদার্থ বিদ্যার হলেও সাহিত্য, শিল্পে ছিলো গভীর অনুরাগ। রাজনীতি করেছেন, রাজনৈতিক লেখা ও লিখেছেন।
সবকিছুর মূলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার অদম্য চেষ্টা। দেশ ও জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে ও গিয়েছিলেন। সহয়তা করেছেন, ঝুঁকি নিয়েছেন। তার ভাগ্যই পরিবর্তিত করে দিয়েছিলো এ দেশের দুশমনেরা। পিতার কাঁধে পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা তুলে দিয়েছিলাম আমরা। আজ সে বোঝা হালকা করে হাওয়ায় মিলে গেছে তার আত্মা। নামের প্রথমাংশ ছাড়া কোনো কিছুতেই মিল ছিলো না আমার। তার কিছুরই যোগ্য নই আমি। বিজয়ের মাসে মহান এক প্রস্থান। বিদায় অজয় রায়।
আপনার মতামত লিখুন :