অপরাজিতা সংগীতা : দুদিন আগে যখন দেখা করতে গেলাম তখন শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিলো কৃত্রিমভাবে কিন্তু সেন্স ছিলো। অনু দা স্যারকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলো, আমাকে চিনতে পারছেন কিনা। স্যার মাথা নেড়ে জানালেন পারছেন। তখনো ভেবেছিলাম, স্যার হয়তো এই যুদ্ধটা জয় করে ফিরে আসবেন। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অনু দা জানালেন আর কোনো সম্ভাবনাই নেই।
একজীবনে কতোটা যুদ্ধ আর করতে পারেন একজন মানুষ? ৮০ বছর বয়সে সন্তানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে হয়েছে এই মানুষটিকে এবং ছেলে হত্যার বিচার তিনি দেখে যেতে পারলেন না। অথচ জীবনের শেষ পর্যন্ত এবং মৃত্যুর পরও এই মানুষটি এদেশকে শুধু দিয়েই গেলেন। স্যার মরণোত্তর দেহদান করে রেখেছিলেন। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট এবং স্যারের বাসার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বারডেম হাসপাতালে স্যারের দেহদান করা হবে। স্যার, ক্ষমা করবেন না আমাদের, ক্ষমা করবেন না এই নষ্ট সমাজকে।
আপনার মতামত লিখুন :