আসিফুজ্জামান পৃথিল : ব্যাপক বিরোধিতা ও সমালোচনার মুখে পাস হয়ে গেছে বিতর্কিত বিলটি। বিলটি উত্থাপন করেন, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৯০ মিনিট তুমুল বিতর্কের পর পাস হয়ে যায় বিলটি। এটি এখন রাজ্যসভায় উত্থাপিত হতে হবে। সেখানে পাস হলেই রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর পরিণত হবে আইনে। এনডিটিভি
এই বিলটিকে প্রত্যাখ্যান করে বিরোধীদলগুলো বলছে, এটি ভারতীয় সংবিধানের সাম্যের স্বীকৃতির পুরোপুরি লঙ্ঘন। তবে অমিত শাহ বলেছেন, ‘এই বিলটির কোনই প্রয়োজন হতো না, যদি না কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগকে অনুমোদন করতো।’ নতুন বিল অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থানের অমুসলিম ‘শরণার্থীরা’ সহজেই ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। কংগ্রেস এমপি শশি থারুর এই বিল বাতিলের জন্য লোকসভায় একটি নোটিস দিয়েছেন। তার মতে এই বিল সমতার মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। ইতোমধ্যেই আসামসহ উত্তর-পূর্বের বেশ কিছু রাজ্যে শুরু হয়েছে বড় ধরণের বিক্ষোভ।
লোকসভায় বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই হইচই শুরু করেন বিরোধীরা। বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তোলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। বিলটি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ বিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের লক্ষ্য করেই এই বিলটি বানানো হয়েছে। বিলটি সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে।’ ওই অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের আইনের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও এ দিন অমিত শাহর অবশ্য দাবি করেছেন, এই বিল সংখ্যালঘু বিরোধী নয়।
এই বিল কেন প্রয়োজন তার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্মের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ভাগের পর, ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত সমঝোতার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে।’ অমিত শাহের দাবি, তিন দেশেই হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক, ও খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার হয়েছে। তিন দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্যই এই বিল। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :