অনির্বাণ আরিফ : তিনি একজন শিক্ষক মানুষ, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অঙ্ক কী ইংরেজি একটা পড়ান। তিনি আমার আইডিতে বছরখানেক হলো আছেন। তেমন কিছু লিখতে জানেন না এটা আমিও জানি তবুও আইডিতে আছেন বলে আছে। আমি বরাবরই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মাদ্রাসার শিক্ষক এমনকি কলেজের বেশিরভাগ লেকচারারদের ক্রিয়েটিভ মনে করি না। কারণ এদের চিন্তাশক্তি পরীক্ষায় বন্দি। এককালে ছিলো নিজেদের পরীক্ষার টেনশন। আরেককালে আসে স্পেশাল কেয়ারে রাখা স্টুডেন্টদের পরীক্ষায় পাস করার জন্য প্যানিক। দু’কালেই তারা পরীক্ষার্থী।
ক্রিয়েটিভিটি তৈরি হয় উন্মুক্ত চিন্তা থেকে, সাহস থেকে, সাহিত্য থেকে, ক্রীড়া থেকে, ট্রাভেলিং থেকে এবং আড্ডা থেকে। বাংলাদেশে তারাই বেশিরভাগ শিক্ষক হয় যারা উপরের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলে। যাদের দিনের আঠারো ঘণ্টা কাটে পড়ার টেবিলে। গরমের দিনে গামছা পরে আর শীতের দিনে কম্বল মুড়ি দিয়ে তারা টেক্সট বইয়ের পাতায় পড়ে থাকেন। যার ফলে তারা একটা সময় মাস্টারি পেয়ে যায়, কিন্তু জগতের কিছুই আর পায় না। সব শিক্ষককে আমি এক পাল্লায় মাপছি না কাউকে কাউকে ভিন্ন পাল্লায়ও মাপি। কিন্তু এ লেখাটির শুরু যে শিক্ষকের কথার লেশ ধরে শুরু হয়েছে এবার তাকে নিয়ে দুইটা লাইন বলি।
শোনেন তিনি একজন শিক্ষক মানুষ। অথচ তার কথা শোনে মনে হলো তিনিও মুফতি ইব্রাহিমের মতো এন্টারকোটিক মহাদেশ থেকে এসেছেন। তিনি মিথিলাকে কয়েকবার জাহান্নামে ফেলে দিয়ে আবার তুলে নিয়েছেন। একবার মনে হলো বলি স্যার ধরেন মাঝরাতে মিথিলা যদি বিকিনি পরে আপনার বুকে এসে পড়ে তখন কী তাকে জাহান্নামে ফেলবেন না আপনার বুকেই রাখবেন? আমি কনফার্ম মাস্টার সাব মিথিলাকে বুকেই বসাবে। এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কখনোই র্যাডিক্যাল কোনো চেঞ্জ আসবে না, কারণ এ দেশের শিক্ষকদের নব্বই শতাংশই মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, কনজারভেটিভ মাইন্ড এবং হিপোক্রেসি লালন করে। আমিও শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :