মুন তাসলিমা শেখ : তবে ভারতও শুরু করে দিলো বিচারবহির্ভূত হত্যা। বাংলাদেশে যা ‘বন্দুক যুদ্ধ’। ভারত লিখেছে ‘এনকাউন্টার’। অন্তত ভারতের বিচার বিভাগের প্রতি আমার একটা আস্থা ছিলো। হায়! আচ্ছা, বিপরীত ভাবা যাক, মেয়েটি ধর্ষণ থেকে বাঁচার জন্য এ চারজনকে হত্যা করলো। মেয়েটি বাঁচতে পারতো? মেয়েটিকে খুনি বানিয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে চরিত্র হনন করে ধর্ষণ থেকে বাঁচলেও মেয়েটি আমার-আপনার হাত থেকে বাঁচতো না।
আইনের কাঠগড়ায় খুনি করে বিচার হতো তার। তার আত্মরক্ষার বিষয়টি ধোপে টিকতো না। কিন্তু রাষ্ট্র একটি মেয়ের ধর্ষণের বিচার করতে সক্ষম না হয়ে গুলি করে হত্যা করলো ধর্ষকদের! ভাবছেন, মেয়েটির প্রতি ন্যায় বিচার করতে এ হত্যা? ভাবছেন এটাই বিচার? অনেক নাইভ আছেন আপনারা। সর্বগ্রাসী ধর্ষণকে ঠেকানোর ক্ষমতা নেই, তার বিচার করার ব্যর্থতার জন্য এভাবে তাদের রাষ্ট্রীয় বন্ধুকে হত্যা করা হলো। আপনি খুশি হলেন। চুপ করিয়ে দেয়া হলো ধর্ষণরোধ এবং ধর্ষণের বিচারকে শক্তিশালী করার আন্দোলন। আপনি হত্যাকে ন্যায়বিচার ভাবলেন।
যতোবার আপনি আনন্দধ্বনি করলেন, ততোবার আপনি আরও একটি অপরাধের পার্ট করলেন নিজেকে। ন্যায়বিচার কোনোদিন অন্যায় দিয়ে করা সম্ভব নয়। নির্বাচিত মন্তব্য : সরয়ার তুষারÑ ‘ভারতও শুরু করে দিলো’ মানে? ভারতে এনকাউন্টার কবে ছিলো না? গোটা সত্তরের দশকে নকশালপন্থীদের কলকাতার অলি-গলিতে এনকাউন্টারে খুন করে ফেলে রেখেছিলো ভারত রাষ্ট্র। তারও আগে স্বাধিকার আন্দোলন চলছিলো যেসব অঞ্চলে, সেই অঞ্চলগুলোতে অঋঝচঅ (AFSPA(armed forces special power act) আইনের আওতায় হাজার হাজার বিদ্রোহীদের এনকাউন্টার দিয়েছে ভারত রাষ্ট্র। দিস ইজ নাথিং নিউ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :