শিরোনাম
◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:২০ সকাল
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশের সহযোগিতায় বৃদ্ধাশ্রম থেকে পরিবারে ঠাঁই হলো বৃদ্ধার

সুজন কৈরী : আম্বিয়া খাতুন নামের একজন বৃদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে থাকতেন। প্রায় পাঁচ বছর আগে আকস্মিকভাবে পড়ে গিয়ে তার ডান হাত ভেঙে যায়। হারিয়ে ফেলেন চলাফেরার শক্তিও। হয়ে পড়েন ভারসাম্যহীন। এরপরই সন্তানদের কাছে তার গুরুত্ব কমতে থাকে। একপর্যায়ে গত বছর তার নাতনি অজ্ঞাত পরিচয়ে মিরপুরের পাইকপাড়ার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে রেখে যান। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু তার মন সবসময়ই আকুল হয়ে থাকতো পরিবারের কাছে যাওয়ার জন্য। মৃত্যুর আগে প্রিয় সন্তানদের মুখখানা একবার দেখে যেতে চান। কিন্তু সন্তানদের মনে মায়ের জন্য বিন্দুমাত্র ভালবাসার উদয় হয়নি। বৃদ্ধাশ্রম রেখে যাওয়ার সময় যোগাযোগের একটি মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন অজ্ঞাত পরিচয়ধারী। ওই নম্বরে ফোন করে বৃদ্ধাকে নিয়ে যেতে বলা হলে অপর পাশ থেকে জানানো হয়, ‘মা মারা গেলে বলবেন লাশ নিতে যাবো’।

সম্প্রতি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ সদর দপ্তরের। বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার পক্ষ থেকে কামরাঙ্গীরচর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং ওই বৃদ্ধাকে যথাসম্ভব সহযোগিতার জন্য ওসিকে অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) সোহেল রানা বলেন, আমাদের মানবিক আহ্বায়ন সাড়া দিয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি এবিএম মশিউর রহমান ওই বৃদ্ধার আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু নাম-ঠিকানা না থাকায় ওসি প্রথমে পাইকপাড়ায় বৃদ্ধাশ্রমটি খুঁজে বের করেন।

সেখানকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে কথা বলে বৃদ্ধার আত্মীয়ের নাম-ঠিকানা জানতে চান। মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে কথা বলে ওসি মশিউর হুমকি দেয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর সেই হুমকি দেয়া নম্বরের সূত্র ধরে তিনটি মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। এরপর সেই সূত্রে নাগরিক ডাটাবেজের সাহায্যে বৃদ্ধার ছেলে আলাউদ্দিনের ঠিকানা সংগ্রহ করে তার সঙ্গে কথা বলা হয়। তাকে কাউন্সিলিং করা হলে তিনি তার মাকে বৃদ্ধাশ্রম থেকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হন। তখন ওসি মশিউরসহ আলাউদ্দিন ও তার পরিজনরা বৃদ্ধাশ্রমে যান। পরে কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধাকে তার ছেলে, ছেলের বউ ও নাতনির কাছে হস্তান্তর করে। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়