হ্যাপি আক্তার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন অনেক বেশি সমাজ সংস্কারমূলক ও আবেদনমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়। তবে ডিজিটাল যুগের কারণ জেলা-উপজেলার হলগুলো চালু থাকতে পারছে না। সে বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখেই সিনেমার উন্নয়নের জন্য জেলায় জেলায় হলগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিল রেখে আধুনিকায়ন করা হবে। এ জন্য সরকার সবসময় সহযোগিতা করবে। ডিবিসি নিউজ, নিউজ ২৪
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিনেমার মাধ্যমে সামাজিক সংস্কৃতির বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে যায়। আর এই বিষয়টি মাথায় রেখে জাতির পিতা বিএফডিসি গড়ে তুলেছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে অনেক কাজ করে গিয়েছেন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সংস্কৃতি উন্নয়নসহ দেশের বেশকিছু উন্নয়নমূলক কাজ করে এদেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু ৭৫ সালে তার এই যাত্রা থামিয়ে দেয় হানাদাররা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই উচ্চ আসনে, যেন বিশ্বদরবারে প্রতিটি বাঙালি মাথা উঁচু করে চলতে পারে।
সাংস্কৃতিক জগতের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য মফস্বলের সিনেমা হলগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও এ ব্যাপারে হল মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ছিনাম। এ জন্য সরকারের তরফে যা যা করা দরকার তা করা হবে। এরই মধ্যে চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭, যৌথ প্রযোজনা নীতিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬টি যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র হয়েছে বলে জানান তিনি।