আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে দর্শনার্থীদের আতঙ্ক এখন কুকুর। সেখানে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের কুকুরগুলোর কারণে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। কুকুর নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি দর্শনার্থীদের।
বিশ্বের ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার। এটি বদলগাছী উপজেলা সদর থেকে উত্তরে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাস্তা সংস্কার হওয়ায় ভোগান্তী কমেছে দর্শনার্থীদের। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। দূর দূরান্ত থেকে সহজেই আসতে পারছেন। দু একজন বন্ধু ও বান্ধবী ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বেশির ভাগই বাস ও মাইক্রোবাস যোগে আসেন। যারা দু একজন আসেন তারা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের গেটের পাশের হোটেলে বা পাহাড়পুর বাজারে খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে আসেন তারা বেশির ভাগই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ভেতরের চত্বরে নিজেরা রান্না করে থাকেন।
রান্না করে খাবারের সময় এসব দর্শনার্থীদের মধ্যে কুকুরের আতঙ্ক থাকে। সে সময় কুকুরগুলো চারপাশে ঘুরাঘুরি করে। কখন যে তারা হামলা করবে তা বলা সম্ভব না। কেউ বা ভিতরে কোথাও বসে নাস্তা করার সময় হা করে তাকিয়ে থাকে। কুকুরের কামড়ের ভয়ে হাত থেকে খাবার ফেলে দেয়ারও ঘটনা ঘটেছে। সেখানে প্রায় ৪০-৫০টি কুকুর রয়েছে।
এসব কুকুরের কারণে দর্শনার্থীদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের বাউন্ডারি প্রাচীর একটু নীচু। অপরদিকে স্থানীয়রা গবাদিপশুর ঘাস সংগ্রহের জন্য গ্রীল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। যার কারণে প্রাচীর টপকে ও ভাঙা গ্রীলের ভেতর দিয়ে কুকুর প্রবেশ করতে পারে। তাই দর্শনার্থীদের স্বচ্ছন্দ ভাবে বৌদ্ধবিহারে ঘুরাঘুরি ও খাবারের সময় আতঙ্ক কাটাতে কুকুর নিয়ন্ত্রনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার স্ব-পরিবারে বগুড়া থেকে মাইক্রোবাস যোগে বেড়াতে আসেন রফিকুল। তিনি দুপুর আড়াইটার দিকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার চত্বরে পরিবারের ৮ সদস্য মিলে খাবার খাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছি। আমরা খাবার শুরু করার সময় ১৫-২০টি কুকুর এসে হাজির। তাড়ানোর পর আবার তারা আসছে। সম্পাদনা : জেরিন মাশফিক