যুগান্তর : সরকারি চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে ঠিক সময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ‘সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯’ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কর্মস্থলে অনুমোদন ছাড়া অনুপস্থিত বা দেরিতে উপস্থিতির কারণে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীদের কর্মচারীর বেতন কাটা হবে। এ বিধিমালা জারির পর ১৯৮২ সালের এক্সিকিউটিভ ইনস্ট্রাকশন এবং ১৯৮৯ সালের এসআরও (নং-১৫৪) বিলুপ্তি বলে গণ্য হবে। তবে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকলে তা এ ইনস্ট্রাকশন এবং এসআরও দিয়ে নিষ্পন্ন করা যাবে।
ওই বিধিমালা বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগের অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস চলাকালীন অফিস ত্যাগ করতে পারবেন না। এটি লঙ্ঘন করলে কর্তৃপক্ষ ওই কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে অভিযুক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করতে পারবে। আর অপরাধের পুনরাবৃত্তি দন্ডে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে একাধিকবার এসব অননুমোদিত কাজ করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর সর্বোচ্চ ৭ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করতে পারবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে, কোনো সহকর্মীকে অবগত করে অফিস ত্যাগ করা যাবে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সালের আলোকে জারি করা এ নতুন বিধিমালায় বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ এবং দেরিতে কর্মস্থলে উপস্থিতির দন্ডের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
অবশ্য দন্ড পুনর্বিবেচনার সুযোগও রাখা হয়েছে ওই বিধিমালায়। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, এসব অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কর্তন করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়ে তা বাতিল বা বহাল রাখতে পারবে। অনুলিখন : মাজহারুল ইসলাম / সম্পাদনা : ইয়াসিন আরাফাত