সমীরণ রায়: আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেছেন, ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িতরা নতুন কমিটিতে স্থান পাবেন না। সব সময়ই বলে থাকি ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ অনেক বড় সংগঠন। এখানে একাধিক নেতা থাকবে। কারো অপকর্মের দায় আমরা নেবো না। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আছে, তা প্রমাণিত হলে তাদেরকে আমরা প্রত্যাখ্যান করবো। চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ও জাতীয় পরিষদ ১০০ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে। এরমধ্য থেকে প্রত্যেক জেলায় একজন করে কেন্দ্রীয় নেতা মনিটরিং করবেন। একই সঙ্গে তিন বছরের মধ্যেই সারা দেশের কমিটিগুলোর সাংগঠনিক রূপ দিতে পারবো। তবে সিস্টেমের বাইরে কিছুই হবে না।
তিনি বলেন, সৎ, পরিশ্রমী, ত্যাগি ও মেধাবী নেতাদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হবে। এই বড় সংগঠন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবেই। তবে খোজ নিয়ে দেখতে হবে, অনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত। যারা সম্পৃক্ত হয়ে দলের ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নিয়েছেন। আগামী দিনে যারা সম্পৃক্ত থাকবে, তাদেরও বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে অনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের অবস্থান থেকে সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবুকে সঙ্গে নিয়ে সারাদেশে ঘুরে ঘুরে সংগঠনটি করতে চাই।
নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, সাবেক একঝাঁক ছাত্রনেতাদের নিয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বাহিনী থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে রূপান্তরিত হয়েছিলো। আমরা সেই ধারাবাহিকতা জেলা-উপজেলাসহ সব পর্যায়ে রাখতে চাই। সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নিয়ে সমাজে কিছু প্রতিষ্ঠিত ভালো লোক, যারা সমাজ সেবামূলক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করতে পারবে, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই নব উদ্যোগে নতুন করে সংগঠনটি করবো। বিশেষ করে যে সমস্ত জেলায় দীর্ঘদিন যাবত সম্মেলন হয়নি, সংগঠন অগোছালো অথবা গতিশীল নয়, সেই সব জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ গতিশীল করতে যা যা করা দরকার, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সেটিই চেষ্টা করবো।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের অভিভাবক। তিনি সহযোগি সংগঠনগুলোরও অভিভাবক। প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে শাসক হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে দেশকে তীলে তীলে গড়ে তুলছেন। তার শ্রম, মেধা ও যোগ্যতার কারণে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি পরিচিত নাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু গরীব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। তার অসামাপ্ত কাজগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোল মডেল। তিনি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে এবং একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দরকার। বিভিন্ন সভা সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সহযোগি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তার আশা ও আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই ত্যাগি, মেধাবী ও দুর্দীনে যারা পরীক্ষিত সৈনিক ও আগামী দিনে সংগঠনকে যারা সেবা দিতে পারবেন, তাদের নিয়েই স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে চাই। ইতোমধ্যে সাধারণ সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে কমিটির কাজ অনেকটা এগিয়েছি। একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেবো। তিনি অনুমোদন দিলেই প্রকাশ করবো।
আপনার মতামত লিখুন :