শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংসদের লেক সংস্কার ও আমব্রেলা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

সুজিৎ নন্দী: ‘জাতীয় সংসদের প‚র্তকাজ, বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেমের উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে ১১৭ কোটি টাকার আমব্রেলা প্রকল্পের অন্যান্য কাজেও অতিরিক্ত ব্যয়সহ নানা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংসদ ভবনের লেক সংস্কার ও পরিষ্কারের জন্য ব্যয় করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। আর সংসদ ভবনের গায়ে বৃষ্টির পানি আটকে থাকা ঠেকাতে ভবনের বাইরের অংশ এবং সাউথ প্লাজার গাথুনিতে ওয়াটার রিপেলেন্টের কাজের নামে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, গত জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় ঠিকাদারদের বিলও প্রায় পরিশোধ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে পুরো সিভিল ওয়ার্কে প্রায় ৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অন্যদিকে ইলেকট্রিক্যাল অংশে প্রায় ৭১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, সুনিদৃষ্ট ভাবে অভিযোগ আসলে অবশ্যই তদন্ত করা হবে। কোনো খাতে বেশি ব্যয় হয়েছে কি না তা বলা সম্ভব নয়।

জানা যায়, লেক পরিষ্কারের নামে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়সহ প্রকল্পের কয়েকটি খাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বিষয়টি পরবর্তী সময়ে ম্যানেজ করে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন। লেক পরিষ্কার এবং ওয়াটার রিপেলেন্টের নামে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে আর্থিক অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মকর্তারা।

সূত্র জানায়, সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করে তো নতুন লেকই বানানো সম্ভব। আর ওয়াটার রিপেলেন্টের কাজের নামে ব্যয় দেখানো ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা তেমন কোনো কাজ না করেই ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে শেরেবাংলা নগর ডিভিশনের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর হক মধু বলেন, কাজটি আমার সময় হয়েছে। নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। তবে এই প্রকল্পে সিভিলের কাজ ছিলো খুবই কম। ইলেকট্রিক্যাল এন্ড মেকানিক্যাল বিভাগের কাজ ছিলো বেশি। যারা ই/এম বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তারা বলতে পারবেন।

ঢাকা সার্কেল-৩-এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন বলেন, নিয়ম মেনেই সব কাজ করা হয়েছে। প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে এই প্রকল্পে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড মেকানিক্যাল (ই/এম) বিভাগের যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা গত কয়েক মাসে তদবির করে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন পদে যোগ দিয়েছেন। খুব শিঘ্রই ই/এম বিভাগের প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও একাধিক সূত্র জানায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়