শিরোনাম
◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৯:৩৯ সকাল
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৯:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লন্ডনের দ্বিতীয় ভাষা বাংলা সক্রান্ত ভুল খবর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে

মঈন মোশাররফ : লন্ডনে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পেয়েছে বাংলা এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৩ ডিসেম্বর ফেসবুকে পোস্টট দিয়ে লন্ডনে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পাওয়ার বিষয়টি ‘সরকারিভাবে মর্যাদা পাওয়ার’ দাবি করেছেন । ডয়চে ভেলে

খুব দায়িত্বশীল পদে থেকেও এমন একটি খবর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডয়চে ভেলেকে বলেন, আমি অনেক জায়গায় খবরটি দেখেছি। ভালো লাগা থেকে পোস্টটি শেয়ার করেছি, অন্য কিছু নয়।
এভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বিভ্রান্তির কিছু নেই। খবরটি যদি সত্যি না হয়, তাহলে আমি আরেকটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেবো। তবে অফিসিয়াল স্বীকৃতি না পেলেও লন্ডনে যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ বাংলায় কথা বলেন, এটা সত্য। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন তথ্য পেয়েছি।

তবে সিটি লিট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপের বরাত দিয়ে প্রথমে খবরটি প্রকাশ করে ভারতের একটি গণমাধ্যম। সেখান থেকেই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। জরিপের কথা উল্লেখ করে সেখানে বলা হয়েছে, লন্ডনে সবচেয়ে বেশি মানুষ ইংরেজিতে কথা বলেন, এরপরই বাংলা, তারপর রয়েছে পোলিশ ও তুর্কি ভাষা।

খবরটির সত্যতা যাচাই করতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন্নবী চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷ টেলিফোনে তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে হাইকমিশনকে এমন কিছু জানানো হয়নি।

এই জরিপের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রেস মিনিস্টার আশিকুন্নবী চৌধুরী বলেন, সিটি লিট নামে যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হচ্ছে, সেটি মূলত শিক্ষা নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আমি নিজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমার মেইলের কোনো জবাব এখনো দেয়নি। রিপোর্টটির অনেক তথ্যই সঠিক নয়।

তিনি আরো বলেন সরকারি হিসেবে লন্ডনে সাড়ে ৫ লাখের মতো সিলেটের মানুষ বসবাস করেন। তারা কোন ভাষায় কথা বলেন? এটা কয়েকবছর আগের হিসাব। নতুন হিসেবে সেখানে ‘বাংলাদেশি’ অনেক বেশি। এর বাইরে ভারতেরও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ সেখানে আছেন। ফলে যে প্রায় ৭২ হাজার মানুষের কথা বলা হচ্ছে, সেটা কিভাবে ঠিক হয়? আর স্বীকৃতি তো কাউকে না কাউকে দিতে হবে। লন্ডনের সরকারের তরফ থেকে এমন কোনো স্বীকৃতির খবর আমাদের হাইকমিশনে কেউ জানাননি । সম্পাদনা : রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়