সাইদ রিপন : বর্তমান সময়ে দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারে প্রায় সব পণ্যের দামই উর্ধ্বমুখী। সরকার যথাসময়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বমুখীতে জিডিপিতে প্রভাব পড়ারও আশঙ্কা করছেন বিশেজ্ঞরা। সংশ্লিষ্টরা বলছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে ভোক্তাদের রেহাই দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে বাজারে সুস্থ পরিবেশ বজায়া রাখতে নিজস্ব আইন সম্বলিত প্রতিযোগিতা কমিশন তৈরি করে। কিন্তু নিজস্ব আইন থাকলেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা এই সংস্থাটি যদি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সক্রিয় থাকতো তাহলে ব্যবসায়ীদের কাছে সাধারণ জনগণ জিম্মি থাকতো না।
এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম বলেন, কমিশন গঠন হওয়ার পর যা যা করা উচিত ছিল তা কিছুই করা যায়নি। আমি ছাড়া এখানকার কেউই সরাসারি নিয়োগপ্রাপ্ত নয়। মূলত জনবল সংকটের কারণেই নিজের কাজটা করতে পারছে না কমিশন। বর্তমানে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরিই বেশ কিছু লোক নিয়োগ পাবে। তিনি বলেন, ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন পাশ হয়। পরের বছর কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশন গঠনের ৪ বছর পর ২০১৬ সালে ভাড়া অফিসে একজন চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে দুজন সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করে। পরে আরেকজন সদস্য নিয়োগ পায়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে সরকারি সংস্থাটি। বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় আছে আরও দুটি অভিযোগ। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের কাছে আমদানী সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। এরপর বিষয় নিয়ে কাজ করবে কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে অবসরে যান প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারপারসন ইকবাল খান চৌধুরী। তারপর আগস্টে অবসরে যান দুই সমস্য আবুল হোসেন মিয়া এবং মুর্তজা রেজা চৌধুরী। ফলে প্রতিষ্ঠানটির সব ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ২৮ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলামকে অবসরোত্তর ছুটি বাতিল করে আগামী তিন বছরের জন্য প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর বাইরে আরেকজন সদস্য আব্দুর রউফ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :