শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:২৩ সকাল
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নরওয়েতে ইসলামের প্রসার ঠেকাতে কুরআনে অগ্নিসংযোগ যেভাবে প্রতিরোধ করলো ইলিয়াস (ভিডিও)

রাশিদ রিয়াজ : চোখের সামনে কুরআনে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে গত নভেম্বর মাসে। দেশটিতে ইসলাম প্রিয় হয়ে উঠছে বা মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে এবং তা ঠেকাতে ইসলাম বিরোধী সংগঠন ‘স্টপ ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে’ (এসআইএএন) ওইদিন সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশের নেতৃত্বদানকারী লারস থরসেন দুই কপি কুরআন শরীফ নিয়ে সমাবেশে স্থলে নিয়ে আসেন। এবং মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় অগ্নিসংযোগ করা হবে। তখন সেখানে প্রচুর পুলিশ থাকলেও এধরনের ন্যাক্করজনক ঘটনায় কোনো বাধা দিতে দেখা যায়নি তাদের। কুরআন শরীফের একটিতে আগুন দেয়া মাত্রই সমাবেশের পাশে থেকেই ইলিয়াস নামে এক সিরিয় যুবক দৌড়ে আসেন লাস থরসেনকে লক্ষ্য করে। সারাবিশ্বাস ইউটিউব ফুটেজে এ দৃশ্য দেখে ইলিয়াসের প্রশংসা করে এবং তাকে বীর বলে অভিহিত করে। আরেকটি কুরআন শরীফে আগুন দেয়ার আগেই ইলিয়াস এ প্রতিরোধ গড়ে তোলে একা এবং খালি হাতে। এখনো ইলিয়াসকে মুক্তি দেয়ানি নরওয়ে কর্তৃপক্ষ।

নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরে এ ঘটনা ঘটার আগেই স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সমাবেশ ঘোষণার পর সাবধান করে দেয়া হয়েছিল। এরপরও নরওয়ে কৃর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেনি। চোখের সামনে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করতে দেখে ইলিয়াস নিশ্চুপ থাকতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এ প্রতিরোধের দৃশ্য বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তুরস্ক, সৌদি আরব, পাকিস্তান নরওয়েতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইলিয়াসকে অনেকে ‘ দি মুসলিম হিরো’, ‘ দি ডিফেন্ডার অব কুরআন’ বলেও অভিহিত করে।

এদিকে ইলিয়াসের মুক্তির দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স কমিটির কাছে দাবি জানানো হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে একজন মুসলমান হিসেবে ইলিয়াস তার চোখের সামনে কুরআনের অবমাননা সহ্য করতে পারেনি। এটা তার ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে করেছে। বরং যে ব্যক্তি কুরআনে আগুন দিয়েছে সে এক অমানবিক কাজ করেছে। মুসলমানরা কুরআনকে আল্লাহর বাণী বা আসমানি কিতাব হিসেবে বিশ্বাস করে। মুসলিমরা সন্ত্রাসী নয়। বিশ্বে ৫শ কোটি মানুষ আছে যারা ইসলামের অনুসারী নয় কিন্তু মুসলমানরা এ কারণে তাদেরকে কখনো আঘাত করে না। কারণ অন্যধর্মের প্রতি ইসলাম শ্রদ্ধা করতে শেখায়। এমনকি ইসলামের সমালোচনাকারীকেও মুসলমানরা কিছু বলে না কারণ এটি তার অধিকার। কিন্তু কেউ যদি কুরআনকে অবমাননা করে এতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় তাহলে তা সহ্য করার মত নয়। কারো আশা করা ঠিক হবে না যে কুরআনে অগ্নিসংযোগ করা হবে এবং মুসলমানরা তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। তাই ইলিয়াস যা করেছে তা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে কুরআনকে রক্ষার। অবিলম্বে ইলিয়াসকে মুক্তি দেয়া হোক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়